Thursday, July 30, 2020

শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন : ✍মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

নতুন শিক্ষা নীতিতে বাদ পড়লো এম ফিল।  বোর্ড পরীক্ষা দিতে হবে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতিই..

☆☆:-  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় পাশ হল নতুন শিক্ষা নীতি। গতবছর জুন মাসে শিক্ষানীতির খসড়া প্রকাশিত হয়, যেখানে নানা মহলের মতামত চাওয়া হয়েছিল।  সেই মতামত চাওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২০১৯ সালের ৩১শে জুলাই। 

উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রকের সচিব অমিত খারে জানিয়েছেন ৩৪ বছর বাদে নতুন শিক্ষানীতি চালু হচ্ছে দেশে। ১৯৮৬ সালে চালু হওয়া ১৯৯২ সালে সংশোধিত হয়, জানা গিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কর্তা ও শিক্ষাবিদের মতামত নিয়েই তৈরী করা হয়েছে নয়া শিক্ষানীতি ।

** নয়া শিক্ষানীতিতে জাতীয় একাডেমিক ক্রেডিট ব্যাঙ্কের ( এন এসি বি ) প্রস্তাব কে মান্যতা দেওয়া হয়েছে । যার মারফত কোনো কোর্স শেষ করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ওই ক্রেডিট ব্যাঙ্ক মারফত টাকা জমা করতে পারবে। এটি একটি কোর্স বা ইন্সটিটিউট থেকে সহজেই অন্য কোর্সে স্থানান্তর করতে পারবে। 

* নতুন শিক্ষানীতিতে একাধিক ভাষাগত শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করা হবে। শিক্ষকরা কেবল ইংরেজিতেই নয়, ভারতীয় সমস্ত আঞ্চলিক ভাষাতেও  শিক্ষাদান করতে হবে তাদের। এম এইচ আর ডি ইতিমধ্যেই অনান্য রাজ্যে শিক্ষার্থীদের আঞ্চলিক ভাষা শেখানোর জন্য পর্যালোচনা মূলক  ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। 

* নতুন শিক্ষানীতিতে থাকছে ২২টি ভাষা। পাশাপাশি থাকছে অডিও বই ও।

* বন্ধ করা হচ্ছে এম ফিল, স্নাতক স্নাতকোত্তর এর পর থাকছে পি এইচ ডি।

* ভারতে মোট তালিকাভুক্ত পড়ুয়ার অনুপাত ২০৩৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ করতে হবে। 

* শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়মাবলি মেনেই তৈরী করতে হবে বেতনের পরিকাঠামো। 

* আঞ্চলিক ভাষায় ই- কোর্সের ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষাদান, মূল্যায়ন, এবং শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে প্রযুক্তির ব্যবহার। ই- কোর্সের ব্যবহার  অনুযায়ী পঠন পাঠন আঞ্চলিক ভাষায় উপলভ্য থাকবে।  হিন্দি এবং ইংলিশ ভাষার পাশাপাশি  প্রথম পর্যায়ে প্রধান ভাষা যেমন কন্নাডা, ওড়িয়া, বাংলা , ভাষা কোর্সের ব্যবস্থা থাকবে। 

* জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী স্কুল স্তরের যাবতীয়  পরীক্ষা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন ( এম এইচ আর ডি) মন্ত্রক । নতুন পদ্ধতিতে ৫+৩+৩+৪ শ্রেনী ভিত্তিক মূল্যায়ন চালু হবে। বোর্ড গুলির এবং শিক্ষাবিদদের সুপারিশ পাওয়ার পরই ১০+২ কাঠামো বাতিল করা হবে। এবং ২০২১ সাল থেকেই নয়া মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু হবে। 

* শিক্ষা ব্যবস্থার একদম গোড়া থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষন কালকে মোট চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রাক প্রাথমিকের তিন বছর এবং প্রথম- দ্বিতীয় শ্রেণীকে নিয়ে পাঁচ বছরের ভিত্তি শিক্ষাকালকে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রথমে। এরপর তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সময় কালকে প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যবর্তী সময়কাল ধরা হয়েছে। এবং নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মোট চার বছরকে 'সেকেন্ডারী'  স্তর রূপে সুপারিশ করা হয়েছে। 
জানা গেছে ক্লাস ফাইভ ও এইটে থাকছে বোর্ডের পরীক্ষা । 

* শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার মাঝে লম্বা ছুটি নিতেও পারবে। এই ধরনের ছুটিকে বলা হয় "স্যাবাটিকাল" । কতদিনের ছুটি নিতে পারবে তা স্থির করবে উচ্চ শিক্ষা কমিশন। শিক্ষার্থীরা নিজের পছন্দমতো মেজর ও মাইনর সাবজেক্ট বাছতে পারবে। কলেজ গুলোকে দেওয়া হবে স্বশাসন ।

* ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই কোডিং শিখতে পারবে পড়ুয়ারা । 

* বোর্ড পরীক্ষার পদ্ধতি বদলাতে হবে। সি বি এস ই-র জন্য সমস্ত কোর্স দুটি ভাগে ভাগ করা হবে। প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে অবজেক্টিভ ও বর্ণনা মূলক প্রশ্নের উপর। 

* স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়ার জন্য শুধুমাত্র একটি পরীক্ষা দিতে হবে। তবে এটি এখনই বাধ্যতামূলক নয়। 

* ভাষা, সাহিত্য, সংগীত, দর্শন, শিল্প, নৃত্য, থিয়েটার, গণিত, পরিসংখ্যান, বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ক্রীড়া, ইত্যাদি বিভাগে উচ্চ শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত ও জোরদার করা হবে ইন্সটিটিউট গুলোতে। 

* ১০০টি বিদেশি বিশ্ব বিদ্যালয় ভারতে তাদের ক্যাম্পাস খুলতে চলেছে। 

* সংস্কৃত ভাষাকে মূল ভাষা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হবে স্কুল স্তরে ।

#মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম বদলে হল শিক্ষামন্ত্রক। স্বাধীনতার পর থেকে এই নামেই পরিচিত ছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। পরে ১৯৮৫ সালে বদল করা হয়। 

#নতুন শিক্ষানীতিতে সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার। এর আওতায় আনা হয়েছে ৩ থেকে ১৮ বছরের পড়ুয়াদের।

#নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে গুরুত্বহীন দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় পড়ুয়াদের  মুখস্থ বিদ্যার বদলে হাতেকলমে শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে ।

#প্রতিবছরের বদলে তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ। 

#দশম শ্রেণির পর কলা বিভাগ, বিজ্ঞান বিভাগ বা বাণিজ্য বিভাগের তফাৎ উঠে যাচ্ছে।
পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়লেও, থাকতে পারে সংগীত । পদার্থবিদ্যা, রসায়ন নিয়ে পড়লেও, ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার সুযোগ।

#পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা/আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা বাধ্যতামূলক। কারোর উপর জোর করে কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়া চলবে না।

#অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা/আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষায় ঐচ্ছিক।
#দ্বাদশ শ্রণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় ৮টি সেমিস্টারের প্রস্তাব।
#৫+৩+৩+৪ ভাগে ১৫ বছরের স্কুল স্তরে পড়াশোনা। এর মধ্যে তিন বছর প্রি স্কুল পড়াশোনার সুপারিশ।

#উচ্চশিক্ষার তত্ত্বাবধানে একটিই নিয়ন্ত্রক সংস্থা, হায়ার এডুকেশন কাউন্সিল (HECI)। তবে তার আওতায় থাকবে না মেডিক্যাল ও আইনি শিক্ষা। 

#স্নাতক স্তরে অনার্স কোর্স ৪ বছর পর্যন্ত হতে পারে। তবে প্রতি বছরের শেষে পড়ুয়ারা পাবেন সার্টিফিকেট। কোর্স শুরুর ১২ মাসের মধ্যে পড়াশোনা ছেড়ে দিলে পড়ুয়া পাবেন ভোকেশনাল কোর্সের সার্টিফিকেট। দুবছর বা ২৪ মাস পর ছাড়লে মিলবে ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট। আর চার বছরের কোর্স করলে পাওয়া যাবে ডিগ্রি কোর্সের সার্টিফিকেট। ফলে চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
#১ অথবা ২ বছরে স্নাতকোত্তরের সুপারিশ।

#উঠে যাচ্ছে এমফিল।

Shortcut Details:---
 নতুন শিক্ষা নীতি ঘোষণা 
5+3+3+4=15 বছরের school life

Pre nurseri to class 2 (বয়স 3-7)
Class 3 to 5  (বয়স 8-10)
Class 6 to 8 (বয়স 11-13)
Class 9 to 12 (বয়স 14-17)

Graduation 3 বছর পরিবর্তে 4 বছর

M.phil উঠিয়ে দিয়ে  শুধু PHD

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার গুরুত্বহীন

Class 9 থেকে বিষয় বাছার সুবিধা 

Class 9 to 12 total 4 year(10+10+10+10=40) বিষয়ে পড়তে হবে

এছাড়াও মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক নাম থেকে পুনরায় Education ministry নাম করন করা হচ্ছে।

তথ্য সংগ্রহ :--- মিনহাজউদ্দিন মন্ডল  

Monday, July 20, 2020

২১ শে জুলাই- শহীদ দিবস // মিনহাজউদ্দন মন্ডল

একুশে মানেই ধর্মতলার রক্ত ঝরানো স্মৃতি,

একুশে মানেই শহীদ স্মরণ এটাই মোদের রীতি।

একুশে মানেই নবীন প্রবীণ মিলেমিশে একাকার,

একুশে মানেই মমতার ডাকে প্রবল জনজোয়ার।

একুশে মানেই লক্ষ কোটি বাঙালির বুকে বল,

একুশে মানেই প্রতিবাদীদের মুখরিত কোলাহল।

একুশে মানেই নব অরুনের উদ্ভাসিত আলো,

একুশে মানেই খড়্গহস্তে প্রতিবাদী দীপ জ্বালো।

একুশে মানেই কম্পিত বুক উচ্ছ্বসিত মন,

একুশে মানেই খুঁজে বেড়ানো প্রানের আপনজন।

একুশে মানেই রৌদ্র বৃষ্টি শহীদ নিকেতন,

একুশে মানেই শ্রাবণ মাসে গন আন্দোলন।

একুশে মানেই বরণ মরণ দিদির জীবনরেখা,

একুশে মানেই তেরো শহীদের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা।

একুশে মানেই মাটির ভাষা আন্দোলনের আলয়,

একুশে মানেই মানুষের ত্বরে প্রতিবাদীদের প্রলয়।

একুশে মানেই মনের কথা জয়ের অঙ্গীকার,

একুশে মানেই সর্বহারার প্রাপ্য অধিকার।

একুশে মানেই গনদর্পন ফিরে দেখা ইতিহাস,

একুশে মানেই কাঙ্ক্ষিত জয় বাঙালির অভিলাষ।

একুশে মানেই রক্ত বৃষ্টি জেগে ওঠে আজো মনে,

একুশে মানেই বিপ্লবী সুর জাগে গনআলোড়নে।

একুশে মানেই মানবোনা হার আসুক যতোই বাধা,

একুশে মানেই থামবেনা গতি পথ যত হোক কাদা।

একুশে মানেই বুকের পাটা অন্তরেতে শপথ,

একুশে মানেই মিছিলে স্লোগানে প্লাবিত যে রাজপথ।

একুশে মানেই অশ্রুধারায় শহীদের তর্পণ,

একুশে মানেই শহীদ স্মৃতিতে ভারাক্রান্ত মন।

একুশে মানেই হার না মানার নতুন অঙ্গিকার,

একুশে মানেই গর্জে ওঠার আহ্বান দুর্নিবার।

একুশে মানেই হাড় হিম করা হার্মাদীয় ত্রাস,

একুশে মানেই স্বজন হারানো শোকের বহিঃপ্রকাশ।

একুশে মানেই পুত্রহারানো মাতৃযন্ত্রনা,

একুশে মানেই রক্তে রাঙা জমানো বেদনা।

একুশে মানেই বজ্রকঠিন দুর্বার সংগ্ৰাম,

একুশে মানেই হার না মানা মমতাময়ীর নাম।

একুশে মানেই জাগবে প্রানে গজরাজসম শক্তি,

একুশে মানেই বাঁধনহারা সুপ্ত আশার মুক্তি।

একুশে মানেই নেত্রীর ডাকে নতুন আশার আলো,

একুশে মানেই মিলেমিশে যেন থাকতে পারি ভালো।

একুশে মানেই হিন্দু, মুসলিম,শিখ আর খ্রিস্টান,

একুশে মানেই ঐক্যসূত্রে সাম্যবাদের গান।

একুশে মানেই মুছে যাক সব ধনী গরীবের ভেদ,

একুশে মানেই সবার জন্য উন্নয়নের জেদ।

একুশে মানেই ছোট-বড় হাতে অর্জিত সম্মান,

একুশে মানেই বাংলা জুড়ে মানবতা বাঁধা প্রান।

একুশে মানেই বজ্রকন্ঠে প্রতিবাদীদের ভাষা,

একুশে মানেই নেত্রী মমতা ভাঙবে ঘুঘুর বাসা।

একুশে মানেই মমতা মা'কে সশ্রদ্ধ প্রণাম,

একুশে মানেই হৃদয়ে লেখা তেরো শহীদের নাম।