Wednesday, January 30, 2019

Farewell Function for Madhyamik -2019

The farewell function for the Madhyamik students of IDEAL ENGLISH INSTITUTE have completed now... Pray for them so that they can gain a sound result in Madhyamik -2019...

Name of the students are....

1. Fatema Kharun.     9. Rabiya Khatun.
2. Sohana Parvin.    10. Afrina Khatun.
3. Sarmin Sultana.   11. Sumitra Mondal.
4. Anjali Baidya.       12. Taniya Khatun.
5. Hasan Mehedi.    13. Nargis Parvin.
6. Md. Ali Qummi.   14. Samirul Islam.
7. Alimul Husaain.  15. Riyajuddin Mondal.
8. Arpita Mondal.    16. Sahin Sardar. And
             17. Imran Hossain Molla.


Friday, January 18, 2019

সিভিক_টিচার_কথোপকথন


আমি (মিনহাজ), আমার স্কুলের বান্ধু (হরিদাস), আমার একজন senior দাদা (দেবেন দা)

✍মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

আমি (মিনহাজ): এই জানিস? আমি এবার চাকরি পেয়েছি!

বন্ধু (হরিদাস): তাই নাকি? বাহ বেশ ভালো। খুশি হলাম, তুই কত ছোটা ছুটি করেছিস এই চাকরির জন্য।আমি তো জানি।  কত ডিগ্রি নিয়ে ঝোলায় ভরেছিস একটা চাকরি পাবি বলে। আমার খুব আনন্দ হচ্ছে রে আজকে!

আমিঃ হ্যাঁ, একদম তাই। ইস্কুলের সেরা ছাত্র ছিলাম। স্যারেরা খুব ভালো বাসতেন, আর ওই মেয়েটা যে আমায় বার বার প্রেম নিবেদন করেছিল তার দিকে ফিরেও দেখিনি,খেয়ালও করিনি কোনোদিন।

হরিঃ হ্যাঁ, এখনও তো সে মেয়েটি বিয়েও করেনি। এবার তো তাকে সম্বন্ধ পাঠাবি? আমরা সবাই তো বিয়ে করে নিয়েছি।

আমিঃ না না না তাজ,, এ আর হয়না? আমি বিয়ে করবো না রে,কারন বিয়ে করে সংসার দেখা খুব কঠিন হবে জানিস। আমি মা বাপের ভালো সন্তান হতে চাই।। কিন্তু বিয়ে করলে সংসার খরচ বাবদ টাকা, আসবে কোথা থেকে শুনি?

হরিঃ তুই চাকরি পেয়েছিস, সংসারের খরচ জোগাড় হবে না? এ কি ধরনের কথা মিনহাজ?

আমিঃ ঠিক ই বলেছি রে! মাননীয়া মুখ্য মন্ত্রী আমাদের সংসার চালানো মত টাকা দেবেন না, তাই তো আমাদের সিভিক পুলিশের ন্যায়  সিভিক টিচার হিসাবে গ্রহন করছেন। মাত্র ২০০০/= এবং ২৫০০/= টাকা করে মাসিক বেতন দেবে।।

হরিঃ ছি ছি এই চাকরী তুই করবি?? তার থেকে রিক্সা চালা টাকা ভালো আসবে,বুঝলি?

আমিঃ ওই চাকরি করবো, করবো, অবশ্যই করবো! আমার কত স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবো!এই তো সুযোগ দিল,  স্বপ্ন পুরনের জন্য। আমরা শিক্ষকরাই নতুন সমাজ গড়ার কারিগর কি না? তাই করবো। সরকার আমাদের সাথে প্রহসন করলেও আমরা তো শিক্ষিত। আমরা তো মন্ত্রী, সাংসদ এদের শিক্ষা দিয়ে থাকি। সাংসদ এর বেতন ২৪৫০০০/= টাকা হলে, আমাদের শিক্ষক দের বেতন ২০০০/= থেকে ২৫০০/=  টাকা। কম কোথায় রে? কি সুন্দর চিন্তা ভাবনা বল তো?

আমার একজন senior দাদা (দেবেন দা): ঠিক বলেছিস মিনহাজ,, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আগুন লাগিয়ে, ঢালাও মদের লাইসেন্স দিয়ে, আমাদের শিক্ষিত সমাজ ও  শিক্ষকদের সাথে এমন প্রহসন করা সরকার, সমাজের কল্যান দিতে পারে না।। ধীক্কার জানাই এই মানসিকতা কে।

আমিঃ শিক্ষিত বিবেবেকের কাছে আমার প্রশ্ন? কি হয়েছে আমাদের সমাজের? কেন এর তীব্র প্রতিবাদ হবেনা? যে যার ইচ্ছে মত ছড়ি ঘুরাবে ? আর আমরা শিক্ষিত বিবেক মুখ বুঝে থাকবো? 

 #মন্তব্যঃ
যতদিন না শিক্ষিত, পরিপাটি, জনকল্যানকামী নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ আমরা লোকসভা,রাজ্যসভা ও বিধানসভায় না পাঠাতে পারবো, ততদিন সুখী সমাজ, সুন্দর সমাজ উঠে আসবে না। আমাদের শিক্ষা বই খাতায় থাকবে,বাস্তব চিন্তায় কাজে লাগানো যাবে না।। আমাদের এগোতেই হবে, আর জাতির বিভাজন নয়, মানুষ মানুষের থেকে পালানো নয়,এগিয়ে চলতে হবে আমাদের এক সাথেই। হাঙর-কুমিরের মুখ থেকে সমাজ কে তুলে আনতে হবে,, এমন শাসন ব্যাবথা গড়তে হবে, যেখানে মানুষ বসবাসের যোগ্য পরিবেশ থাকবে। আসুন আমরা এক হই ভুল গুলো ভেঙে দিই এবং নিজেদের ভুল কে পরিবর্তন করি।।

ধন্যবাদ,,,,,
অধম মিনহাজউদ্দিন

Thursday, January 17, 2019

সরকারের কাজে আমার মতামত

গরীব,, বেকারত্ব,,, এই সব কিছুর জন্য দায়ী সরকার,,, কারণ, রেডিও ও টিভিতে ভাষণ দিচ্ছে "ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ" সেই ছাত্ররাই যখন লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পড়াশুনা শিখেছে তাদের বাবা-মায়ের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দেবে এই আশা নিয়ে,,,

     আর সরকার কি করছে,,,?? SSC তো হয়ই না,,, আর হলেও প্রশ্ন ফাস, বা written এ পাশ করলেও Interview তে লক্ষ-লক্ষ টাকা ঘুষ !!!! আবার কখনো-কখনো ২০০০ টাকা বা ২৫০০ টাকার বেতনে স্কুলে ইন্টার্শিপ!!!  তাহলে কি দরকার ওই ভাবে ভাষণ দেওয়ার, যেখানে গরীবদের কোনো নিরাপত্তাই নেয়,,,,

    বাবা-মায়ের কাছ থেকে ভোট নেওয়ার আশায়?? একটা কথা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিতে চায়,, ভোট কিন্তু জীবনে একবার আসে না,, পাঁচ বছরে তিন বার হবে,,, তাই সাধারণ মানুষ চাইলে সরকার নিমেষে পরিবর্তন করতে পারে,,,

   সরকার হয়ত ভুলে গিয়েছেন এটা প্রজা তান্ত্রিক দেশ,,, এখানে এক নায়কতন্ত্র চলে না,,,, Government is the people, for the people, by the people...
Government should remind this statement daily...

    আমি মাননীয়া মুক্ষমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কে জানাতে চায় যে,,, আমার গ্রামে আমি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে TMC কে সমর্থন করে আসছি,,, কিন্তু বেকারত্বের জ্বালা আমার কুরে কুরে খাচ্ছে,,মা-বাবার সামনে দাড়াতে পারিনা লজ্জায়, তাই এমন কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ভালো যেখানে TMC এর পতন ঘনিয়ে আসে,,, এটা শুধু আমার কথা নয়,,,, রাজ্যের সকল শিক্ষিত বেকারদের মত,,,

আমি TMC এর কর্মী হয়েও আমার মনে যদি এইরূপ চিন্তা আসে তাহলে ভাবুন অন্যদের মধ্যে কি আগুন জ্বলছে????

কেউ খারাব ভাববেন না,,, আমার মত পোষণ করলাম,,, আমার এই মতের সঙ্গে হয়ত রাজ্যের শত শত শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মত এক হবে,,, তাই Just Imagine,,, What should we do at now??? Should we silence or violence???  Should we stop here or move forward...???

ছোট গল্প: প্রতিবাদ ও ভালোবাসা



         প্রতিবাদ ও ভালোবাসা
         °°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°

(প্রিয় পাঠকগণ গল্পটি যদি বাস্তবতার সাথে কল্পনা প্রসূত গল্পের সাদৃশ্য পান তাহলে আশা করি শেয়ার করবেন, কেননা সাহিত্য জীবনের দর্পন।)
-------------------------------------------------------------------

সকালের নাস্তা টেবিলে। মা সোহাগী আর মেয়ে সুমিতা বসে নাস্তা করছে। বাবা কদম আলী নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। সেই কাক ডাকা ভোরে কদম আলী  বের হোন আবার গভীর রাতে ফিরেন।

মেয়ে সুমিতা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ করছে। সপ্তম সেমিস্টার চলছে। মা সোহাগী মহিলাদের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত। মাঝে মাঝে নিজেই টাকা পয়সা খরচ করে সমাজ সেবার নামে বিভিন্ন সংগঠন থেকে পুরষ্কার ডাগিয়ে আনেন। এটা সোহাগী একা করেন না, বাংলাদেশে এই সংস্কৃতি বিদ্যমান এবং হঠাৎ ফুলে ফেঁপে উঠা সমাজ খুব ভালো ভাবেই এটা ম্যানেজ করে।

খাবার টেবিলে বসেই মেয়ে সুমিতা মার সাথে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। কারণ এই খাবার টেবিল ছাড়া ব্যস্ত মা বাবাকে সুমিতা আর ফ্রি পায় না। তাই নাস্তা  সময়টা সুমিতা সময় নিয়ে করে।

সুমিতা বেশ সচেতন এবং দেশ প্রমিক, অন্যায় এবং অনাচার তাঁর মেনে নিতে কষ্ট হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের অনিয়ম খুব ভালো করে ধরিয়ে দেয়। দেশের কারেন্ট বিষয় নিয়ে বন্ধুদের সাথে তর্ক বিতর্ক করে। ভালো কে ভালো এবং খারাপ কে খারাপ বলতে সুমিতার একটুও ভাবতে হয় না।

বাবা সাংসদ হলেও ক্ষমতাসীনদের ভুল ভ্রান্তি নিয়ে কথা বলতে একটুও চিন্তা করে না। গনতন্ত্র, উন্নয়ন আর জনগণের অধিকার নিয়ে বেশ সচেতন। অন্যায়, জুলুম, সন্ত্রাস আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুমিতার অবস্থান সুদৃঢ়। এর জন্য বন্ধু মহলে সুমিতা "প্রতিবাদী কন্যা" উপাধিতে ভূষিত।

আজ নাস্তার টেবিলে সুমিতা একটু গম্ভীর এবং নিশ্চুপ। মায়ের কাছে ব্যাপারটা বেশ বেমানান মনে হচ্ছে। যে মেয়ে খাবার এর চেয়ে কথা বলে বেশী, যে মেয়ে মায়ের দোষ নিয়ে প্রতিবাদে মুখর, সে হঠাৎ চুপ কেন? সোহাগী বেগম বেশ ভাবছেন আর অপেক্ষা করছেন কখন সুমিতা কথা বলা শুরু করে।

না কোন কথা বলছে না, আপন মনে বেশ সময় নিয়ে পারুটিতে জেলী আর পনির মাখছে। ছুরিটা নিয়ে এপাশ ওপাশ করছে কিন্তু মুখে দিচ্ছে না।

: সুমিতা তুমি কথা বলছো না যে?

: ভাবছি মা।

: কি নিয়ে এতো ভাবছো

: ভাবছি কি ভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যায়।

: তোমার এতো ভাববার দরকার নেই । নিজের পড়া লেখা নিয়ে ভাবলেই হবে।

: মা ভুল বললে। যেহেতু লেখা পড়া করছি, শিক্ষিত হচ্ছি, সেহেতু অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা দায়িত্ববোধের অংশ। তানাহলে শিক্ষা অর্জনটা নেহায়েত সনদ প্রাপ্তির নামান্তর মাত্র মা।

: চতুর্দিকে অন্যায় আর অনিয়ম! তুই কয়টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবি।

: মা ভাবছি ঘর থেকে শুরু করবো।

: মানে?

: মানে খুব সোজা, তোমার এবং বাবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিয়ে শুরু করবো।

: আমি আবার কই অন্যায় করলাম?

: এই যে বিভিন্ন সংগঠনের নামে সরকার এর কাছ থেকে টাকা ভাগিয়ে লুট করো আর বছর শেষে টাকা পয়সা খরচ করে এ্যাওয়ার্ড নাও, এটা কি খুব মহৎ কাজ মা??

: তুই তো দেখছি দুধ কলা দিয়ে পোষা কাল সাপ!!

: না মা, আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত হেদায়েত এর মাধ্যম।

: তোর বাবাকে তো  চিনিছ, উল্টা পাল্টা কিছু করলে কিন্তু মেরে ফেলবে।

: জানি, যার রাজনৈতিক জীবনটাই বিতর্ক আর রহস্যের ভরপুর, তার পক্ষে সব করা সম্ভব।

: তা তোর মতলবটা কি শুনি!

: মা কিছুদিন আগে ফেসবুকে দেখলাম এক ছেলে তার বাবাকে ভোট দিতে তার এলাকার লোকজনকে বারণ করছেন।

: কেন?

: কারণ বাবা একজর বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বাধীনতা বিরোধী দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নির্বাচন করছেন।

: ঠিকই তো করছে

: হ্যাঁ আমিও বলি ঠিক করছে এবং আমারও ঠিক কাজটাই করা উচিৎ।

: তুই কি বেঠিক করছি যে এখন ঠিক কাজ করতে হবে?

: আচ্ছা মা, স্বাধীনতা বিরোধীরা তো দেশের শত্রু? স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিরোধীতা করে  দেশের জনগণের উপর নির্মম অত্যাচার, খুন আর মা বোনের ইজ্জত হরণে সহায়তা করেছিলো। এদেরকে এবং এদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামসদের আমরা ঘৃণা করি এবং এদের অপকর্মের শান্তি চেয়ে সদা সোচ্চার এবং জাগ্রত থাকি। সর্বস্তরের জনগণের আন্দোলনের মুখে এদের বিচার কার্যও চলমান।

: হ্যাঁ। স্বাধীনতা বিরোধী দল গুলো এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

: আচ্ছা মা, মনে করো আগামী কোন এক নির্বাচনে ঐ স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষ দেশের ক্ষমতা পেয়ে গেল, তাহলে দেশ কি পাকিস্তান হয়ে যাবে? বা স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি ক্ষমতায় থাকলে কি দেশ ভারত হয়ে যাবে? এইসব কথা হলো রাজনৈতিক মিথ্যাচার। বুদ্ধিমান লোকের নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই না মা।

: তা তোর পরিকল্পনা টা কি?

: স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা বিরোধীতা করেছে তারা যেমন দেশের শত্রু এবং দেশের ভালো চায় না বলে বিশ্বাস করি, ঠিক তেমনি করে স্বাধীন বাংলাদেশে যারা ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে দেশের টাকা মেরে খেয়ে দিচ্ছে তারা কি দেশ প্রেমিক? সন্ত্রাসী, খুনী, শেয়ার বাজার লুটে খাওয়া গোষ্ঠী, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ এবং জনগণের নিরাপত্তা ও অধিকার হরণ কারীরা কি দেশ প্রেমিক? গনতন্ত্র জনগণের অধিকার এটা যদি স্বাভাবিকতা হারিয়ে সন্দেহ আর অনিশ্চয়তার দোলায় দোলে সেটা কি মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে যায় না মা?

: হ্যাঁ যায় তো। তোর কথা গুলোও ঠিক। কিন্ত সব কিছু দেখে চুপ থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ দলে থাকা ভালো।

: না মা, ভুল বললে, সব কিছু দেখে মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনা লালন করে অন্যায় কে অন্যায় বলাই হলো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ। এর ব্যতিক্রম হলে বুঝতে হবে সেখানে ব্যক্তি স্বার্থ আর শোষণের মানসিকতা বিদ্যমান।

: তোর এতো পাকনা কথা বলা দরকার নাই। যেমন আছিস তেমনি থাক, তোর বাবার বিরুদ্ধে একটা কথা বললে স্রেফ মেরে ফেলবে।

: বাবার যা কুকীর্তির ইতিহাস মানুষ এর মুখে শোনে বড় হচ্ছি তাতে বেড়ে উঠছি ঠিক, মনের আনন্দ বা তৃপ্তি কখনো পাচ্ছি না। রাস্তায় যখন মিছিল দেখি "কদম আলী খুনির বিচার চাই" তখন তাঁর মেয়ে হিসেবে মরে যেতে ইচ্ছে করে। যখন বন্ধুরা বলে কীরে তোর বাবা নাকি ব্যাংক খেয়ে ফেলছে তখন লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায় মা। এর চেয়ে "বাবার হাতে কন্যা খুন" বড় হেড লাইন নিউজ হয়ে ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে নাম লেখানো অনেক সম্মানের।

: তুই কি করতে চাছ।

: আমি বাবার কুকীর্তি ও দীর্ঘ দিনের অপকর্ম নিয়ে একটা ভিডিও বানিয়েছি আর সাথে বাবাকে ভোট না দিতে বলে মানুষের কাছে আকুতি জানিয়েছি।

: সাবধান এসবে যাবি না। তোর বাবা সোজা গুলি করবে। বাসা থেকে বের করে দিয়ে লাশ বানিয়ে কবরে পাঠিয়ে দিবে।

: আমি সেটাই চাচ্ছি মা। মানুষ দেখুক তারা যাকে ভোট দিতে চায় সে কতোটা ভালো মানুষ!

: তুই কি পাগল হয়ে গেছিস? কে কি ফেসবুকে দিলো আর তা দেখে তুইও উঠে পড়ে লাগছিস নিজ বাবা সম্পর্কে নেগেটিভ প্রচার করতে!

: আচ্ছা মা, তুমি তো বলতে বিয়ের পর অর্নামেন্ট বলতে ছিলো নানার দেয়া তিন ভরি স্বর্ণ। আর এখন তোমার স্বর্ণ ব্যাংকের ভোল্টে রাখতে হয়! কতো ভরি যেন মা? একশত ভরির বেশী! এইসব কেনার টাকা কোথা থেকে কীভাবে এসেছে কখনও জানতে চেয়েছো?

:এসব জানার কি আছে? জন প্রতিনিধিদের টাকা এমনিই আসে।

: মা দুই রুমের ভাড়া বাসা থেকে আজ ডুপ্লেস বাড়ি, অনেক গুলো এ্যাপার্টমেন্ট, মার্কেট কোথা থেকে এলো? কখনও জানতে ইচ্ছে করেনি!

: এসব তোর বাবা উপার্জিত টাকা দিয়ে কিনেছে।

: হা হা হাহাহা। জীবনে বাবাকে ব্যবসা করতে দেখলাম না, চাকরি করেছে শুনিনি, দাদাজানেরও কোন ব্যবসা ছিলো না। দেশে একটা বসত বাড়ি ছাড়া কিছু নেই, তা হলে উপার্জনের মাধ্যমটা কি মা?

:তোর বাবার ঠিকাদার লাইসেন্স আছে, ও দিয়ে ব্যবসা করে।

: হমমম, আমার এক বন্ধু আমাকে সব সময়ই জিজ্ঞেস করে "কি রে তোর টেন্ডারবাজ বাবা কেমন আছে?"  আমি নীরবে এড়িয়ে যাই।

: নিশ্চয়ই ঐ ছেলে তোর বাবার বিপক্ষ দলের কেউ।

: উচিত আর সত্য বললে বীর মুক্তিযোদ্ধাও বিপক্ষ আর স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে যায় মা!

: তানাহলে তোকে ওভাবে বলবে কেন?

: কেন বলবে না! যার বাবা খুনের দায়ে জেল খাটে, জেল থেকে বের হয়ে সন্ত্রাসী আর মাস্তানির মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে হঠাৎ টাকাওয়ালা হয়ে যায়, যে সন্ত্রাসী শক্তির বৌদলতে হঠাৎ নেতা বনে যায় এবং সুযোগ সুবিধা মতো সাংসদও হয়, তাকে কে ভালো বলবে? হ্যাঁ বলে, যারা তার মতো এবং নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে বাবাকে লাগে তারা ভালো বলবে।

: তুই মানসিক ভাবে অসুস্থ, তৈর বাবা আসলে বলতে হবে, তোকে যেন মানসিক ডাক্তার দেখানো হয়। এই দেশে না বিদেশে গিয়ে যেন দেখায়। এদেশে দেখালে আবার পত্রিকার হেডিং হয়ে যাবে।

: মা শুনেছি বাবা তোমাকেও তুলে এনে জোড় করে বিয়ে করেছে, আর তাই নানা বাড়ির কেউ বাবার সাথে সম্পর্ক রাখে না।

: কে বলছে? আমি তোর বাবার সাথে প্রেম করে বিয়ে করেছি। তোর নানা মামারা স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়ে বিপক্ষ রাজনীতি করে বলে তোর বাবাকে দেখতে পারে না।

: মা, "যা রটে, তা কিছুটা বটে"। আমার বাবা স্বার্থ ছাড়া কারো সাথে মিলে না। আচ্ছা মা, বাবা প্রতিমাসে বেশ কিছু জায়গায় মোটা অংকের টাকা পাঠায়, সবাই বলে এই টাকা দিয়ে বাবা সবার মুখ আর চোখ বন্ধ রাখে।

এমন সময় সুমিতার ফোন বেজে উঠে। স্ক্রিনে দিকে তাকায়। সুহাস ফোন করেছে। সুহাস একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে এবং সুমিতার বয় ফ্রেন্ড। এই ভিডিও টা বানাতে সুহাস ট্যানিক্যাল সাপোর্ট দিয়েছে।

: মা সরি, ফোনটা একটু ধরি।

: হুমমম ধর।

: হ্যালো সুহাস (খাবার টেবিল থেকে উঠে গিয়ে সোফাতে বসে কথা বলে। সোফা আর খাবার টেবিলের দুরত্ব এতো বেশি যে আস্তে কথা বললে শোনা যাবে না।)

: সুমিতা কাজটা ডান এবং তোমার ফেসবুক টাইম লাইনে আপলোডেড। মাত্র দশ মিনিটে দশ হাজার ভিউ, কয়েক শতো কমেন্ট এবং অসংখ্য শেয়ার।

: দারুণ । তোমাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। তুমি আমার না দেশের মানুষের জন্য একটু ছোট্ট পরিসরে মুক্তিযুদ্ধ করে ফেললে।

: কারণ আমি যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার রক্ত প্রবাহে।

: আচ্ছা শোনো, আপাতত আমাকে আর ফোন টোন দিও না। ফেসবুকে ফলোআপে রেখো। জানি না বাবা কিভাবে রিএ্যাক্ট করবে। আমি কি নানু বাড়ি চলে যাবো কিনা ভাবছি?

: কিন্ত আমার ভয় হচ্ছে, তোমার বাবা না রেগে কি তোমাকে অত্যাচার করে।

: আরে করলে করবে। মরেই তো আছি, আর কি মারবে।

: আমি তোমাকে ভালবাসি, খুব ভালোবাসি 💚

: হুমম জানি, আর তাই তো পাসওয়ার্ডটা দিয়েছি। তোমাতে বিশ্বাস আমার পাহাড়ের মতো অটল।

: তোমার বাবা সম্পর্কে যা বলেছো, তাতে আমার খুব চিন্তা হচ্ছে, পাছে না আবার আমাকে গুম করে দেয়।

: সুহাস ভিডিও টা আমি আপলোড করেছি তুমি নও। এবং আমি মরে গেলেও তোমার নাম বলবো না । এতোটুকু বিশ্বাস রেখো।

: ওকে। আমার মনে হয় তোমাকে অন্যত্র নিরাপদ  জায়গায় চলে যাওয়া ভালো।

: হুমম নানু বাসায় চলে গেলে নিরাপদ। ওদিকে বাবা আসবে না।

ফোনটা রেখে আবার খাবার টেবিলে আসে। বসে পানি পান করে। চা বানিয়ে নেয়।

: কে ফোন করেছিল?

: মা আমার এক বান্ধবী। একটু সমস্যায় আছে, একটা চাকরির জন্য বাবার সুপারিশ চায় আর আমাকে একটু হেল্প করতে বলে।

: তা সমস্যা কি করে দাও।

: হুম বলেছি করে দিবো। বাবা আসলে আজ বলবো।

সুমিতা একটু চালাকি করলো। নানু বাড়ি যাবার একটা নির্ঝঞ্জাল ব্যবস্থা চায়, সেটা করা এবং দ্রুত বাসা থেকে বের হওয়া। এই মুহূর্তে পথ খুঁজছে।

: কিরে কি ভাবছি?

: মা আমার না বাবার এই নির্বাচন, বাসা ভর্তি কিছু অদ্ভুত লোকের আনাগোনা, ধর্ষণের দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে ঠোঁটে কামড় দেয়া মানুষ গুলো অসয্য লাগে। তাই ভাবছি নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নানু বাসায় থাকবো।

: তা যেতে পারিছ । তোর নানা ভীষণ খুশী হবে।

: হুমম। তুমি ড্রাইভার কে বলে দাও। আমি এখনি যাবো।

:*ওকে বলে দিচ্ছি।

সোহাগী বেগম স্বামীর জন্য ভোট চাইতে বের হবেন। মহিলা নেত্রীরা বসে আছেন। নিজে সাজ গুঁজ করছেন। দামী পারফিউম স্প্রে করলেন, ভোটের কথা মাথায় রেখে সৌদি থেকে হানা হিজাবটাও সুন্দর করে বেঁধেছেন। হঠাৎ ফোনে রিং । বিছানায় পড়ে থাকা ফোনটার দিকে তাকালেন। স্বামীর নাম ভাসছে। ঝটপট এসে ফোন ধরেন।

: হ্যালো

: তোমার মেয়ে কোথায়? আমার নামে ফেসবুকে এইসব কি দিছে? ওকে আমি গুলি করে মারবো।

: আরে কি দিছে সেটা আগে বলবে তো!

: তোমার মেয়ে আমাকে দেশের শত্রু বানিয়ে সবাইকে ভোট দিতে বারণ করেছে। আমি নাকি খুনী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, ব্যাংকের টাকা মেরে খাই, শেয়ার বাজারের বারোটা বাজিয়েছি, আমরা দেশের শত্রু! সবাইকে অনুরোধ করেছে যেন স্বাধীনতা বিরোধীদের মত স্বাধীন দেশের শত্রুদেরও ভোট না দেয়। এও বলেছে, "আমি তাঁর মেয়ে হিসেবে আপনাদের অনুরোধ করছি, বাবাকে ভোট দিয়ে অন্যায়কে সমর্থন করবেন না এবং অন্যায় কে দীর্ঘস্থায়ী করতে সহায়তা করবেন না।"

: মিথ্যে কিছু তো বলেনি, কিন্তু নির্বাচনের আগে না বললেই ভালো হতো। শোনো ঠান্ডা হও। ঐ ফেসবুক আর কয়জন দেখে। তুমি কাজ করেছো না? মানুষ এমনিতেই তোমাকে ভোট দেবে।

: আমার ইজ্জতের উপর নগ্ন হামলা, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হুমকির মুখে, আর তুমি বলছো ঠান্ডা হবো।

: হুমমম ঠান্ডা থাকবে। না হলে মানুষ সত্য ভেবে আরো ছড়িয়ে দিবে।

: ওকে দ্রুত ঐসব ছাইপাশ ডিলিট করতে বলো, আর না করলে ওরে বাসা থেকে বের করে দিবো। নিজের মেয়ে যার জন্য এতো কিছু করছি, সে বলে আমি খারাপ। সে আমাকে ভোট দিতে না বলে!

:ওতো নেই, সকালে নাস্তা করেই আব্বার ওখানে চলে গেছে বলেছে নির্বাচন শেষ হলে আসবে।

: ও! এর সাথে তোমার বাবাও জড়িত! সব গুলারে দেখে নিবো। নির্বাচনের পরে চৌদ্দ শিকে ঢুকাবো।

: তুমি নিজের প্রতিবাদী মেযের দোষ আমার নিরীহ বাবার উপর চাপাচ্ছো কেন? বাবা এইসব কিচ্ছু জানে না। তোমার মেয়ে ইউনিভার্সিটি বন্ধুদের নিয়ে এইসব করছে।

: সব কয়টা হারামীর বাচ্চারে দেখে নিবো।

সুমিতা ফেসবুকে মানুষের কমেন্ট পড়ছে এবং দেখছে সবাই তার সাথে একমত। অনেকেই বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মতো স্বাধীন দেশের নব্য দেশদ্রোহী রাজাকারদেরও ভোটে বয়কট করা উচিত।

বোস্টার ছাড়া একটা ভিডিও মেসেজ এতো তাড়াতাড়ি জড়িয়ে পড়তে পারে সুমিতা ভাবেনি।  এলাকার অনেকেই লিখেছেন, এই ডিডিও বার্তাটি সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সহায়তা করবে। অনেকে বলেছে, মেয়ে যেখানে সৎ নিষ্ঠাবান এবং দেশ প্রমিক সেখানে বাবার এই ইতিহাস, নিজস্ব সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে।

: নানু ভাই কি করছো?

: এই ফেসবুক দেখছি।

: হুমমম আমিও দেখলাম এবং হঠাৎ নানু বাসায় আসার কারণও বুঝতে পারলাম।

: নানু ভাই, আমি শিক্ষিত সন্তান হয়ে, দেখে, শোনে, বুঝে যদি প্রতিবাদ না করি, তাহলে আমার এই শিক্ষার মূল্য কি?

: ঠিক বলেছি। সবার তোর মতো প্রতিবাদী হওয়া উচিত।

: তোর বাবা তো ভাববে, এই ভিডিওএর পেছনে আমার হাত আছে।

: ভাবুক। এই যে তুমি মুক্তিযোদ্ধা, অথচ ভিন্ন মতের রাজনীতি করো বলে তোমাকেও রাজাকার বলে। দেশদ্রোহী বলে। মামাদের রাজাকারের বাচ্চা বলে।

: বোনরে ক্ষমতার চশমা খুব খারাপ জিনিস, ক্ষমতার চশমা দিয়ে নিজেকে ছাড়া বাকি সবাইকে রাজাকার, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ মনে হয়। তোর বাবা যা করছে সেটা ঐ ক্ষমতার চশমার প্রভাব। তুই চিন্তা করিছ না। তোর কিচ্ছু হবে না।

: কি হবে আর কি হবে না, তা ভেবে তো পোস্ট করিনি। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটাধিকার প্রয়োগে মানুষকে অনুরোধ করেছি মাত্র। এখন মানা না মানা পাবলিক এর কাজ। আমার দায়িত্ব পালন করেছি এখন পাবলিকের দায়িত্ব পালনের কাজ।

: নানু ভাই তোমার বাবা এবারও পাশ করবে এবং জনগণ আবারও ঠকবে।

: নানু ভাই, ভালো মানুষ গুলো যেন জয়ী হয়।

: আমিন। তুমি রেস্ট নাও আমি উঠছি।

কদম আলী নির্বাচন পরাজিত হয়। মেযের নেগেটিভ প্রচারণায় ভোট কমে যায়। বৌ এর সাথে রাগা রাগির এক পর্যায়ে বুকের ব্যাথায় ঢলে পরে। দ্রুত হাসপাতালে আনা হয়।

কদম আলী এখন আইসিসিউ (CCU) তে। বিমর্ষ  দলীয় কর্মীরা হতাশ তবে দল জয়ী হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে আছে।

৭২ ঘন্টা পাড় হয়েছে। কদম আলী এখন বিপদ মুক্ত এবং ক্যাবিনে আছেন। বৌ সোহাগী স্বামীর হাত ধরে আছেন। একটু একটু কথা বলেন। জ্ঞান ফিরেই একবার মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করেছেন।

কদম আলী চোখ মেলে তাকালেন। মেয়েকে খুঁজছেন। মেয়েকে দেখতে না পেয়ে স্ত্রী সোহাগীর চোখের দিকে তাকালেন।

: কিছু বলবে?

: আমার মেয়ে, আমার মা সুমিতা কোথায়?

: ও আছে, তিন ধরেই বারান্দায় বসে শুধু কান্না করছে। ভযে তোমার কাছে আসছে না।

: তুমি ওকে ডাকো। ওকে আমার বুকটা ছুঁতে বলো, আমার সব ব্যথা দূর হয়ে যাবে। আমি ভালো হয়ে যাবো।

সোহাগী হাত সরিয়ে নিয়ে উঠে এলেন, দরজা খোলে সুমিতাকে ডাকলেন। সুমিতা একটা ডাকের অপেক্ষায় যেন ছিলো। দৌড়ে গিয়ে বাবার পা জড়িয়ে ধরে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

: এই আমার প্রতিবাদী সাহসী মেয়ে কাঁদছিস কেন? আমার বুকে আয়। তুই ঠিক কাজটি করেছি, আমাকে পাপ কাজ থেকে ফিরে আসতে সাহায্য করেছিস। আমি আজ থেকে তোর স্বপ্নের মতো বাবা হয়ে বেঁচে থাকবো। আমি আমার মেয়ের মাঝে আগামী দিনের নেতৃত্ব দেখতে পারছি। পরবর্তী নির্বাচনে তুই হবি এই আসনের এমপি। আমি তোর প্রচারণায় কাজ করবো। তুই আমার জ্ঞানের চোখ খুলে দিযেছিস।

সুমিতা বাবার বুকে মাথা রেখে কাঁদছে, কদম আলী একহাতে মেয়েকে জড়িয়ে ধরেছেন আর এক হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে দিচ্ছেন। পাশে দাঁড়িয়ে মা সোহাগী মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে আঁচলে চোখের জল মুছেন।

=================
তারিখঃ ২৫/১২/২০১৮
সময়ঃ ১২:৪৭ মিনিট
© ডি এম কামরুজ্জামান স্বাধীন
লেখকঃ বেসরকারি চাকরিজীবি ।

ডিসক্লেইমারঃ দয়া করে কেউ লেখাটার সাথে রাজনীতিকে জড়াবেন না। এই গল্পটা পুরোই কল্পনা প্রসূত, বাস্তবতার সাথে মিলে গেলে কাকতালিয়।

Wednesday, January 16, 2019

ছন্দে ছন্দে Preposition

    : ছন্দে ছন্দে Preposition :

       ✍মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

নগর,🌃 শহর, দেশ🇮🇳
IN বসিয়ে করিবে বেশ।

সপ্তাহ-মাস-বছর-ঋতু-যুগ ও শতাব্দি
IN বসানো হয় আজও অবধি।

সন্ধ্যা- বিকাল ও প্রভাত
IN বসিয়ে করিবে বাজিমাত।

দুপুর-রাত ও সময়ের🕜 আগে AT এবং দিনের আগে ON,,
দিনের অংশভাগে IN না বসালে, করবে তুমি Wrong ।

Festival এ AT, নম্বরেও AT
WITH হয় বস্তুতে,
এইভাবে Preposition শিখবে,আনন্দ আর ফুর্তিতে ।

Person এ BY, পাশে বোঝাতেও BY, কিন্তু (যানবাহনের আগে) IN a car
দক্ষতা-অদক্ষতায় AT না বসালে, সব হবে ছারখার।

ছোটো জায়গায় AT, এবং
বড়ো জায়গায় IN হয়---
এই পার্থক্য না বুঝিলে, মনে থাকবে ভয়।

ভীতর থেকে বাহির হতে OUT OF,
Preposition না বুঝিলে Mood থাকবে off---
লেগে থাকলে ON হয়, নয়লে হয় ABOVE ।

ON এ গিয়ে গতি হলে,
শেষ হয় ONTO,,
সাথে বোঝাতে WITH হয় ও দিক বোঝাতে TO ।

এপাশ থেকে ওপাশে যেতে(বাধা না থাকলে), বসাতে হয় ACROSS,,
Preposition শিখলে কিন্তু নেয় কোনো Loss---
"এর" বোঝাতে OF হয় Boss।

শুরু থেকে বোঝাতে SINCE হয়, নয়লে হয় FOR,,
গতি বোঝাতে (ওপর দিয়ে) বসাতে হয় OVER ।

নীচে বোঝালেই UNDER বসা,
Preposition আসলেই খুব মজা ।

মাত্রা ও নীচে বোঝালে বসাতে পারো BELOW,,,
Preposition শেখাতে পেরে আমি আছি ভালো ।

ধন্যবাদ,,, ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

প্রকাশকাল : ১১ ই আগস্ট,২০১৭..

প্রকাশ স্থান : IDEAL ENGLISH INSTITUTE..

লেখক : মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

যোগাযোগ:--
  📱+917797243129

www.ieinstitute.blogspot.com

📧 idealenglishinstitute@gmail.com

Tuesday, January 8, 2019

Islamic Article : আমাদের চিন্তা-ভাবনা Vs বাস্তবতা

Islamic Article : আমাদের চিন্তা-ভাবনা Vs বাস্তবতা


👉 বিয়ের সম্পর্ক যৌবনের সাথে, ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পড়ে রয়েছে আজীবন।
অথচ আমাদের দেশে বলা হয় আগে ক্যারিয়ার গড়ো তারপর বিয়ে কর। পরিণতিতে পার্কে পার্কে অবাধ প্রেমলীলা, ধর্ষণের সেঞ্চুরি আর ডাস্টবিন গুলোতে বেওয়ারিশ শিশু লাশের ছড়াছড়ি যা কুকুর, কাক আর শকুন মিলে ভাগাবাটি করে খায়।

👉বিয়ে করে বউকে খাওয়াবি কী?????
কথাবার্তা শুনে মনে হয় বউ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খাদক যার ক্ষুধা নিবারণ করা দু:সাধ্য।

👉ওয়াজ মাহফিল শুনলে মনে হয় পর্দা শুধু নারীদের জন্য। অথচ আল কুরআনে সর্বপ্রথম পুরুষের পর্দার কথা বলা হয়েছে।
তবে সব আলেম নই।

👉 বিয়ে মানেই মেয়ের বাবার উপর খরচের পাহাড় চাপিয়ে দেয়া। অথচ ইসলামে দাওয়াত খাওয়ানোর দায়িত্ব বর পক্ষের, কন্যা পক্ষের নয়।

👉আমাদের দেশে বরপক্ষ যৌতুক নেয়, মোহরানা না দিয়ে বাসর রাত্রে স্ত্রীর নিকট ক্ষমা চায়। অথচ ইসলামি বিধান মতে স্ত্রীরা মোহরানার হক্বদার, যৌতুক তো সম্পুর্ণ হারাম।

👉কতিপয় হুজুরের কথাবার্তা শুনে মনে হয় সেবা পাওয়ার হক্বদার শুধুই স্বামী। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট (দ্বীনের ক্ষেত্রে) উত্তম।

👉বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের হাতে স্বর্ণের আংটি না পরালে মান সম্মান থাকেনা, অথচ পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম।

👉 পুরুষদের কাপড় থাকবে টাখনুর উপরে, আর মেয়েদের কাপড় থাকবে টাখনুর নিচে। অথচ বাস্তবতা???????

👉বিয়ের ব্যপারে হাজারো বাধা বিপত্তি থাকলেও ব্যভিচার করা একেবারেই সহজ।
.
👉কতিপয় লোকের কাণ্ড কারখানা দেখলে মনে হয় যে, কন্যাকে- বোনকে সম্পত্তি ফাঁকি দিতে পারা সবচেয়ে বড় ক্রেডিট। ভাবখানা এমন যে, পুত্র সন্তানদের জন্ম দিয়েছে নিজ ঘরে, আর কন্যাদের কচু বাগানে।

👉রাসুলুল্লাহ (সা) তাক্বওয়া ভিক্তিক পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করতে বলেছেন, আর আমরা করছি চেহারা রুপ আর সম্পত্তি ভিক্তিক 😊

পিতা-মাতার মৃত্যুর পরে সন্তানের ৪০টি দায়িত্ব

পিতা-মাতার মৃত্যুর পরে সন্তানের ৪০টি দায়িত্ব



১. পিতা-মাতার গোসল, কাফন ও দাফনের ব্যাবস্থা করা।
২. পিতা-মাতার খরচাদির জন্য অসন্তুষ্ট না হওয়া।
৩. শরিয়তের বিধান অনুযায়ি শোক অনুষ্টানের আয়োজন করা।
৪. পিতা-মাতার ওসিয়ত অনুযায়ি আমল করা এবং এ ক্ষেত্রে অন্যদের কথা অনুযায়ি আমল না করা।
৫. দাফনের রাতে নামাজে ওয়াহসাতে কবর পড়া।
৬. পিতামাতার গোসল,কাফন এবং দাফনের কাজে যারা সাহায্যে করেছে তাদের পারিশ্রমিক দেয়া আর না পারলে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।
৭. পিতামাতার ঋণকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধ করা।
৮. যদি পিতা-মাতা সম্পদ ভাগাভাগি করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন তাহলে অন্যান্য ওয়ারিশদের মাঝে তা ভাগ করে দেয়া।
৯. পিতা-মাতার জন্য প্রত্যেকদিন কোরআন পাঠ করা। সম্ভব না হলে অন্তত পক্ষে নামাজের পরে তিনবার সুরা ইখলাস পাঠ করে তাদের রূহের উদ্দেশ্যে হাদীয়া করা।
১০. প্রত্যেক নামাজে পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা। বিশেষত তাহজ্জুদের নামাজে, হজ্বে এবং যিয়ারতের সময়।
১১. প্রত্যেকদিন তাদের জন্য সাদকা দান করা যা একটির বিনিময়ে ৭০ হাজারের সমপরিমাণ তাকে দান করা হবে।
১২. যদি সম্ভব হয় তাহলে প্রত্যেকদিন মাগফিরাতে ওয়ালেদাইনের নামাজ পড়া।
১৩. পিতা-মাতাকে হারানোর কষ্টের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা।
১৪. পিতা-মাতার কাযা নামাজগুলো নিজে বা অন্য কাউকে অর্থ দানের মাধ্যমে আদায় করা।
১৫. পিতা-মাতার কাযা রোজাগুলো নিজে বা অন্য কাউকে অর্থ দানের মাধ্যমে আদায় করা।
১৬. পিতা-মাতার কবর যিয়ারতের জন্য যাওয়া। তাহলে হজ্বের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।
১৭. কবরস্থানে যেয়ে পিতা-মাতার কবরের কাছে কোরআন, আয়াতুল কুরসী এবং দুরুদ শরীফ পাঠ করা।
১৮. মাসুম (আ.)দের কবর যিয়ারত করার সময় পিতা-মাতার পক্ষ থেকেও যিয়ারত পাঠ করা।
১৯. পিতা-মাতার পক্ষ থেকে ওমরা হজ্ব পালন করা। আর ওয়াজিব হজ্ব হলে তাদের পক্ষ থেকে তাওয়াফ করা।
২০. যদি পিতা-মাতার সামর্থ ছিল কিন্তু হজ্বে যেতে পারেনি। তাহলে তাদের পক্ষ থেকে ওয়াজিব হজ্ব আদায় করা আর তাদের সামর্থ ছিল না তাহলে তাদের পক্ষ থেকে হজ্ব আদায় করা মুস্তাহাব।
২১. যদি পিতা-মাতার প্রতি কেউ অসন্তুষ্ট ছিল তাহলে কথা বা অর্থের মাধ্যমে হলেও অসন্তুষ্ট ব্যাক্তির সন্তুষ্টি অর্জন করা।
২২. যদি পিতামাতা তাদের অজান্তে কোন অত্যাচার করেছিল এমনটি ধারণা করলে তাদের পক্ষ থেকে ফকিরকে দান খয়রাত করা।
২৩. যদি কারো সামর্থ থাকে তাহলে প্রতি সপ্তাহে বা মাসে তাদের রূহের মাগফেরাতের জন্য শোকানুষ্ঠানের আয়োজন করা।
২৪. পিতা-মাতার ভাল কাজগুলোর পুণরাবৃত্তি করা।
২৫. পিতা-মাতার অসমাপ্ত ভাল কাজগুলোকে সমাপ্ত করা।
২৬. যদি সন্তান জানে যে তার পিতামাতা অপরের সম্পদকে জবরদখল করেছিল তাহলে প্রাপ্য হকদারের কাছে তা ফিরিয়ে দেয়া।
২৭. পিতা-মাতার যদি খুমস বা যাকাত বাকি থেকে যায় তাহলে তা আদায় করা।
২৮. কারো পিতামাতার উদ্দেশ্যে খারাপ কথা না বলা যেন তারাও অনুরূপভাবে পাল্টা জবাব দেয়।
২৯. সমাজে এমন কাজ না করা যেন লোকজন তার পিতামাতার উদ্দেশ্যে খারাপ কথা বলে।
৩০. লোকজনের সাথে ভাল ব্যাবহার করা যেন তারা তাদের জন্য দোয়া করে।
৩১. পিতামাতার পরিচিত ও বন্ধু-বান্ধবদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। কেননা তারা সন্তানের আচরণের কারণে তার পিতামাতাকে স্মরণ করবে।
৩২. পিতা-মাতার সম্ভাবনাময় বীপদের কথা চিন্তা করে দান করা যেন তারা পরিত্রাণ পায়।
৩৩. পিতা-মাতার তৈরী জিনিষগুলোর রক্ষণা বেক্ষণ করা। যেন তারা সন্তুষ্ট হয়।
৩৪. পিতামাতার যিয়ারতের উদ্দেশ্যে চাচা, ফুফু, মামা এবং খালার সাথে সাক্ষাত করতে যাওয়া।
৩৫. কেউ যদি মনে করে যে সে তার পিতামাতার জীবদ্দশায় তাদের হক্ব আদায় করতে পারেনি তাহলে তাদের মৃত্যুর পরে তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে সেই কাজগুলো সম্পাদন করা।
৩৬. পিতা-মাতাকে স্বপ্নে দেখার চেষ্টা করা যেন তাদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
৩৭. পিতামাতার মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে দান খয়রাত, সাদকা, যিয়ারতকে অব্যাহত রাখা। সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে ভুলে না যাওয়া।
৩৮. পিতা-মাতার নাম এবং কবরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং অসম্মান না করা।
৩৯. পিতামাতাকে হারানোর কষ্টকে সর্বদা মনে রাখা।
৪০. পিতামাতার কবরকে সংরক্ষণ করা। তা ভেঙ্গে গেলে তা পুণরায় সংষ্কার করা।

ছোটগল্প: তৃষিত স্বপ্ন

ছোট গল্প

 তৃষিত স্বপ্ন
✍মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

তোমার তো পছন্দ জাম্বুরা! তা হঠাৎ এতো গুলো কমলা লেবু নিয়ে এলে?

স্ত্রী জমিলা স্বামী কাদের এর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন। কাদের সাহেব বিচক্ষণ লোক। বুদ্ধিমত্তার সহিত প্রতিটি কথার উত্তর দেবার চেষ্টা করেন। বৌ এর হঠাৎ এমন প্রশ্নের উত্তরেও বুদ্ধির ছাপ রাখার চেষ্টা করলেন এবং উত্তর দিলেন।

: জাম্বুরা তো আর কম খেলাম না! এখন কিছুদিন কমলা লেবু খেয়ে দেখি। ভাবতে পারো রেস্ট পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি।

: সব টেস্ট পরিবর্তননের চেষ্টা করো না আবার, তাহলে কিন্তু ঘরের কথা পরে জেনে যাবে।

: তোমার মাথায় তো সারাদিন একই কথা ঘুরপাক খায়। অন্য কিছু ভাববে কি করে?

:আমার পছন্দ সাগর কলা আর তুমি সব সময়ই নিয়ে আসো চম্পা কলা। নিজেরটাই সব সময় বোঝো। আমার পছন্দের দাম দিয়েছো কখনও?

: ওরে বাবা বিধাতার দেয়া রিজিক পছন্দ না করে উপায় আছে?

জমিলা কমোরে কাপড় পেচিয়ে বাজার নিয়ে রান্না ঘরে দিকে চলে গেলেন। কাদের সাহেব স্ত্রীর কাপড় পেচানো কমোরের দিকে তাকিয়ে ক্ষুধার্ত অনুভব করলেন।

: তাড়াতাড়ি করো, অনেক ক্ষুধা লেগেছে।

: খেতে গেলে একটুতেই যার হয়ে যায়, তার আবার ক্ষুধা লাগার কি আছে! (স্ত্রী জমিলা কিচেন থেকেই বিরক্তি নিয়ে উচ্চ স্বরে বললেন।)

কাদের সাহেব কয়েক বার এসে স্ত্রীকে দেখে গেলেন। জমিলা বেগম রান্না বান্না করছেন। স্বামীর ঘন ঘন কিচেনে আসাটা পছন্দ করছেন না। আবার যখন এলেন কিছুটা রাগ আর বিরক্তি নিয়ে বললেন-

: এতো ঘন ঘন কিচেনে আসার কি হলো? আমি তো আর এখানে আয়োজন করে বসে নেই।

:আহা রাগ করো কেন? শুক্রবার, বাসায় বসে আছি, তাই ক্ষুধাটা একটু বেশী।

: বেশী ক্ষুধা ভালো না। বয়স হয়েছে, ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করো।

: কি বলো! চল্লিশ প্লাস কোন বয়স হলো? এই বয়সে ইংলিশ মুভিতে ছেলেরা নায়কের অভিনয় করে।

: ওরে আমার হিরো আলম। ইংলিশ মুভির নায়ক! ধরার আগে ক্ষয়ে পরে, তার আবার নায়ক হবার শখ!

: তুমি কিন্তু আক্রমণ করে কথা বলছো। একটু সংযত হও, ছেলে মেয়ে বাসায়!

: কেন চুপ থাকবো? ওরা বড় হয়েছে। এখন জানুক ওদের মা সারা জীবন কীভাবে বঞ্চিত হয়েছে।

মিঃ কাদের সাহেব এবার আর কিচেনের আশেপাশে এলেন না, সোজা রুমে ঢুকে খাটে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লেন।

মেয়ে পল্লবী ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ে। উচা লম্বা আর স্বাস্থ্যের গঠনের কারণে সবাই বয়সের চেয়ে বড় মনে করেন। বাসায় প্রায়ই বিয়ের সমন্ধ আসে। মিঃ কাদের সাহেব এ নিয়ে আগ্রহ দেখালেও জমিলা বেগম আগ্রহী না। মা জমিলার কথা হলো লেখা পড়া শেষ করবে এরপর বিয়ে। পল্লবী মায়ের কথাতেই সায় দেয়।

কলেজে পল্লবী বেশ পরিচিত। সিনিয়র ভাইয়েরা একে ওকে দিয়ে প্রস্তাব পাঠায়, ফোন নম্বর শেয়ার করে। ফেসবুক আই ডি চায়। বান্ধবীরাও এই নিয়ে পল্লবীকে একটু খোঁচায়। কেউ কেউ সিনিয়রদের হয়ে ওকালতি করে। খুব ক্লোজ বান্ধবী সোমা তো একদিন সজলের কথা বলেই ফেলে।

:পল্লবী সজল কতো স্মার্ট এবং সুদর্শন, তুই ওকে অনন্ত ভেবে দেখতে পারিছ।

: বন্ধু স্মার্ট আর সুদর্শন ব্যাপারটা বাহ্যিক, অন্তর্গত দিক তুই কতোটুকু জানিছ?

:ঠিক আছে, ওর সাথে মিশে সেটা বোঝার চেষ্টা কর।

:থাক, আজ কালকার ছেলেদের সাথে একটু মিশতে গেলেই রাতে ফেসবুকের ইনবক্সে গল্পের নামে আজাইরা কথা জুড়ে দেয়, এর মধ্যে এমন কিছু শব্দ থাকে যা ভদ্রতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়।

:ইশ একটু ফান মজা দোষের কি?

:একটুও দোষের না। দোষটা হলো ফান এর চেয়ে লিটনের ফ্ল্যাটের গল্প বেশী হয়।

: তা যাই বলিছ, সজলকে তোর ফিরিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। ওর মতো ছেলে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

: আমার আব্বু কে দেখেছিস?

:হুমমম। আংকেল অনেক স্মার্ট ও সুদর্শন।

: কিন্তু আমার মায়ের কাছে সব সময়ই বাবা একজন অতিসাধারন। সারাক্ষণ মা জারীর উপর রাখে। এখন বড় হয়েছি তো মায়ের কথার মিনিং বুঝি। তাই সুদর্শন পাত্রের প্রতি আমার লোভ কম।

: কি বলিছ! আংকেল কি.... (লজ্জায় থেমে যায়)

: তোর থেমে যাওয়া প্রশ্নের মানি আমি বুঝেছি। মা হয়তো প্রত্যাশা অনুযায়ী তৃপ্ত না, বা চাওয়া পাওয়ার ব্যবধান বিস্তর। তাই  খিটখিটে মেজাজ নিয়ে বাবাকে সব সময়ই অশান্তিতে রাখে।

: এটা আন্টি ঠিক করে না। আংকেল অনেক ভালো এবং কতো সুন্দর একটা মানুষ।

: আমি মাকে যতোটা বুঝেছি তাতে আমি সজলের চেয়ে আমাদের কলেজের সুঠাম দেহী সুমনকে বেশি পছন্দ করি।

: সুমন!! ঐ বডি বিল্ডার আর কালো ছেলেটা?

:হুমমম কালো ছেলেটা আমার পছন্দ

:তোর রুচী এতো বিচ্ছিরি আগে জানতাম না।

:এটা রুচীর ব্যপার না সুমী, এটা চাহিদা আর যোগানের সামঞ্জস্যের ব্যপার। সুদর্শন বয় যখন চাহিদার সাথে যোগান দিতে ব্যর্থ হবে তখন তুমি মানসিক রোগী হবে অথবা বিকল্প সাপোর্ট এর জন্য হন্যে হয়ে যাবে।

: তোর কথার আগা মাথা বুঝি না।

: বুঝবি একদিন বুঝবি, সেদিন আফসোস করে এই পল্লবীর কথা বলে কাঁদবি।

:ওতো বোঝার দরকার নেই। কালো পোলা আমার চলবে না।

: তাহলে সজলকে তুই প্রপোজ করে ফেল।

: আমি তোর মতো অতোটা আকর্ষণীয় হলে বসে থাকতাম না।

কাদের সাহেব রাতে খেয়ে শুয়ে আছেন। স্ত্রী জমিলার জন্য অপেক্ষা করছেন। জমিলা বেগম ড্রয়িং রুমে বসে টিভিতে ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখছেন।

কাদের সাহেব এপাশ ওপাশ করছেন। চোখে ঘুম আসছে না। স্ত্রীর সান্নিধ্য চাচ্ছেন। ছুটির রাত একটু রোমান্টিক হবার চেষ্টা করছেন।

ঠিক বারোটারও পরে জমিলা বেগম এসে পাশ ফিরে শুয়ে পড়লেন। কাদের সাহেব ঘুরে স্ত্রীর শরীরে হাত দিলেন। একটু আদর করার বাহনায় কাছে টানতে চাইলেন।

: খবরদার ধরবে না। আমার গরম না লাগতে লাগতে তোমার শীত লেগে যায়, এমন রোমান্টিক খেলা এখন আর উদ্বেলিত করে না। এর চেয়ে ঘুম দাও ভালো হবে।

: তুমি কিন্ত স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করছো, পাপ হচ্ছে 😭

: আর তোমার বুঝি খুব পুণ্য হয়। আমার অধিকার সম্পর্কে কি তোমার এই একুশ বছরেও ধারনা হয়নি?

: দেখো তুমি এই শেষ বিকেলে এসে রঙ্গিন দিনটার ললাটে কলংকের তীলক এঁকে দিচ্ছো ।

: তুমি কোন সকালে সুখের রঙ্গিন ফুল দিয়েছিলে?

: যতোটা পেরেছি উজার করে দিয়েছি। কোন কিছুর অপূর্ণতা তো রাখিনি।

:তোমরা ছেলেরা শুধু অর্থ, গাড়ি আর বাড়িতে পূর্ণতা খোঁজো। এর বাইরেও একটা চাহিদা আছে, সেটার দিকে নজর দাও না। সতের বছর বয়সে বিয়ে হয়েছে, কিছু বোঝে উঠার আগেই পল্লবী কোলে এসেছে। এর চার বছর পর পল্লব এলো। এদের লালন পালন আর বড় করতে গিযে নিজের অনেক কিছুই বিসর্জন দিয়েছি। আজ ওরা বড়, নিজেদের কাজ নিজেরাই করতে পারে, আমার অবসর। বয়সতো মোটে পয়ত্রিশ। এই বয়সে এখন অনেকে এক বাচ্চার মা।

: জমিলা আমি তো কম করছি না। কোন কিছুতেই অপূর্ণতা রাখছি না। তোমাকে বিয়ে করেতো অযত্ন করিনি ।

: যত্ন কি বোঝার আগেই তো অন্যদের যত্নের ভার দিয়ে নাক ডেকে ঘুমানোর অভ্যাস করে ফেললে।

: তাই তো এখন আবার আদরে যত্ন করতে চাই।

: হা হাহাহা, এখন যত্ন মনে হয় না, যন্ত্রণা মনে হয়। এখন খেলা বুঝি তো! তোমার টি-টুয়েন্টি পছন্দ হলেও আমার একদিনের ম্যাচ পছন্দ।

কাদের সাহেব আবারও জমিলাকে পাশ ফেরাতে ব্যর্থ হলেন। বালিশ থেকে মাথা তোলে জমিলার মুখের দিকে তাকালেন। জমিলার গাল বেয়ে অশ্রু গলে পড়ছে। কাদের সাহেব হাত দিয়ে মুছে আলতু করে চুমু খেলেন। জমিলা মুহূর্তে অভিমান ভুলে সোজা হয়ে শুয়ে স্বামীকে বুকে টেনে নিলেন।

==================
তারিখঃ ০৮/০১/২০১৯
সময়ঃ ২০:০৬ মিনিট।

-------------------------------------
নোট: গল্পটা আমার কল্পনার শাব্দিক প্রকাশ। কারো সাথে মিলে গেলে আন্তরিক দুঃখিত। পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

কবিতা: প্রতিবাদের ইচ্ছা

প্রতিবাদের ইচ্ছা
মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

ইচ্ছে করে সমাজটারে
দাঁত ফেলে দিই চড়ায়ে,
বিশ্বটাকে ধাক্কা মেরে
আর একটু দিই নড়ায়ে।

ধর্ম নিয়ে ভণ্ডামিতে
নাচে যারা খুশিতে,
ইচ্ছে করে শিক্ষা দিতে
নাক ফাটাই এক ঘুষিতে।

কোন বিধাতা বিশ্ব চালায়
কোথায় থাকে লুকায় সে?
ধনি কেন লালন করে
গরিব কেন ধুকায় সে?

গরিব যখন পেটের ক্ষুধায়
কষ্ট পায় ওই  বস্তিতে,
কান্না শুনে কেমনে বিধি
লুকায় থাকে স্বস্তিতে?

ইচ্ছে করে ভেঙ্গে চুরে
 বিশ্বটাকে ফের গড়ি,
মানবতার প্রতিষ্ঠাতে
সমসঙ্গে আয় লড়ি।

ছোটগল্প: অমর ভালোবাসা

আমার লেখা একটা ছোটগল্প...যা পড়ে হয়ত আপনিও মুগ্ধ হবেন।

"অমর ভালোবাসা"
মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

মাত্র ১৫ দিন হলো রনি কানাডায় গিয়েছে। এরকম ভাগ্য কতজনের হয়! ১৫ দিনের মাথায়ই ইউরোপের সিটিজেনশিপ তাও আবার এক টাকাও খরচ করতে হয়নি। এদিকে মিথিলা অপেক্ষা করছে সাত দিন হলো রনির সাথে কোন যোগাযোগ হয়নি।  আসলে সে হলো রনির গার্লফ্রেন্ড। ভালোবাসা যে কত গভীর আর ভালবাসার টান যে এত বেশি তা মূলত রনি আর মিথিলাকেই দেখলে বুঝা যায়। কিন্তু কানাডা যাবার পর থেকে সে মিথিলাকে তেমন পাত্তাই দিচ্ছে না। দেশ থেকেই মিথিলার কল আসলেই সে তার ব্যস্ততা আর কাজের চাপের বাহানা করে ফোন কেটে দেয়। কিন্তু সে তাতে বিন্দু পরিমানও রাগ করে না কারণ, সে ভাবতে থাকে হয়তো বিদেশে কাজের চাপে হয়তো সে তার সাথে এরকম আচরণ করছে।
সময় যত গড়াতে থাকে রনির আচরণও বদলাতে থাকে। দিনটি ছিলো বুধবার। বৃষ্টি হচ্ছিলো আর আকাশে মেঘের গুড়গুড় শব্দ। আসলে তার থেকে বড় ঝড় হচ্ছিল মিথিলার মনে। কারণ দীর্ঘ দুইমাস রনির কোন খোঁজ-খবর না পেয়ে সে এমবি কিনিছে রনির সাথে ইমোতে কল করার জন্য কিন্তু রনিকে অনেকবার ফোন দেয়ার পর সে কল রিসিভ করে এমন ভাব দেখাল যেন সে জীবনের প্রথম মিথিলা নামটি শুনেছে!
মিথিলার সাথে কি হচ্ছে সে নিজেও বুঝতে পারছিল না।
তবে কি সে স্বপ্ন দেখছে? না!
এসব বাস্তবেই ঘটছে। কথা বলার এক পর্যায়ে রনি বলল, আমি আদৌ কোনদিন তোমাকে ভালোবাসিনি।
আর আপনিও আর কোনদিন আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না প্লিজ।
আই হেট ইউ আই হেট ইউ...
বলতে বলতে রনি ফোন কেটে দিল। আসলে সে কি কানাডায় গিয়ে তার অতীতের সকল কথা ভুলে গিয়েছিল?
সে কি তবে সত্যিই আমার সাথে নাটক করেছিল। তবে কি আমার ভালোবাসা মিথ্যে ছিল। এসব কথা ভাবতে ভাবতে মিথিলা রাতে এক সেকেন্ডের জন্যেও ঘুমাতে পারেনি।
পরেরদিন সে রনির সব ছলনা বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে বলতে লাগল হে খোদা- আপনি রনিকে এমন কোন রোগ দিন যাতে সে আমার মতো আর কোনো মেয়ের সাথে  ভালোবাসা নিয়ে ছলনা করতে না পারে।
এর তিন দিন পর মিথিলা জানতে পারল যে, রনির ক্যান্সার হয়েছে। আর তাও আবার তার রক্তে। যারজন্য তার বেশিদিন বাঁচার কোন চান্স ই নেই।
মিথিলা খবরটি শুনে এত আনন্দিত হলো যে সে মনে মনে সুবহান আল্লাহ বলে খোদার কাছে শুকরিয়া আদায় করল। এবং সে ভাবতে লাগল সত্যি তার ভাগ্য অনেক ভালো। আল্লাহ যাই করেন ভালোর জন্যই করেন।
যদি রনির সাথে তার বিয়ে হতো তাহলে আজ আমার কি হতো ?
এসব কথা ভেবে সে নিজেকে খুবই আনন্দিত মনে করলো।
দুইমাস পর...
আজ মিথিলার বিয়ের ৭ দিন হয়ে গেছে। তার জামাই একজন সরকারী চাকুরীজীবী। অন্যদিনের তুলনায় তার স্বামী আজ একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলেন। ফ্যাকাশে মুখে কি যেন চিন্তা করে অস্থির হয়ে আছেন মিথিলা স্বামী জহির। চিন্তার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কলেজের বন্ধু রনি হাসান আজ সকালেই কানাডায় মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...
খবরটি শুনে মিথিলা মনে মনে  মুচকি হাসে। তারজন্য এটা তো দারুণ সুখবর।
সে ভাবে, আজ যদি সে রনির স্ত্রী হত তবে মাত্র কিছুদিনের মাথায় সে বিধবা হয়ে যেত।

একদিকে মিথিলা রনিকে ঘৃণা করে অন্যদিকে মিথিলার স্বামীর খুব ভালো বন্ধু ছিল রনি। একদিন রাতে কোন এক কথার জের ধরে মিথিলা তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা বলতো তোমার বন্ধু রনি কেমন স্বভাবের লোক ছিল আই মিন ওর আচার-আচরণ। যার জন্য তুমি আজও সব সময় ওর কথাই বলো এবং তার জন্য তুমি আজও কাঁদ।
জহির কেঁদে কেঁদে বলে, রনি ছেলেটা ছিল অতুলনীয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ থেকে শুরু করে কোন ইবাদতই সে ফাঁকি দিত না। সে খুবই সাদাসিধে এবং সরল টাইপের ছেলে ছিল। কখনোও মিথ্যা কথা বলতো না কিন্তু; একবার সে বাধ্য হয়েছিল মিথ্যা বলতে। সেটা ছিল একটা মেয়ের সাথে তার সম্পর্কের কারণ। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। উন্নত জীবন এবং স্বপ্নকে বাস্তবের রূপ দিতে সে কানাডায় পাড়ি জমায় কিন্তু সেখানে পৌঁছাবার মাত্র ৭ দিন পর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। আর ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা আজো আবিষ্কার হয়নি তাই নিশ্চিত মৃত্যু বুঝতে পেরে ডাক্তারদের পরামর্শে মাত্র ১৫ দিনের মাথায় তাকে কানাডা সিটিজেনশিপ দেয়া হয়। বিষয়টি যখন রনি জানতে পারলো যে, সে আর বেশীদিন এই পৃথিবীতে নেই তাই ভাবলো একটা নিষ্পাপ মেয়ের জীবন নষ্ট করে আমার কি লাভ?
তাছাড়া সে স্পষ্ট জেনে গেছে সে আর বেশীদিন সুন্দর পৃথিবীতে থাকবে না। আর সে এটাও বুঝে গেছে তার স্বপ্ন আজীবন স্বপ্নই থেকে যাবে। তাই যাকে সে তার জীবনের সবথেকে বেশি ভালোবাসতো সেই মেয়েটির সাথে সে এমন আচরণ করে, যাতে মেয়েটি তাকে ঘৃণা করে এবং চিরতরে তার জীবন থেকে চলে যায়। পরিস্থিতি তাকে বাধ্য করেছিল এরকমটি করার জন্য।  তুমি কি তাকে ভুল বুঝে এবং তার জীবন থেকে চিরতরে চলে যায়।
রনির একটাই চাওয়া ছিল- সে যাকে পছন্দ করতো, ভালোবাসতো, সেই মানুষটি যেন সারাটি জীবন সুখ শান্তিতে থাকে। এসব শোনার পর মিথিলা অজ্ঞান হয়ে যায়। এবং যখন তার জ্ঞান ফিরে সে বুঝতে পারে তার অভিশাপের কারনে রনির ক্যান্সার হয় নি বরং; অভিশাপের মতো আচরণ করেই রনি তার জীবন থেকে এভাবে ফাঁকি দিয়ে চলে গিয়েছিল না ফেরার দেশে...

কবিতা: কেন আমি অপরাধী

কেন আমি অপরাধী
-------মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

কেন আমি অপরাধী
গড়েছে কে আজ আমায়,
সে নেতার হবে কি বিচার ?
এ মাটিতে এই বাংলায়।

লেখা পড়া শেষে কেন
চাকরি নাহি মিলে,
নেতার পদ ধূলি পেলে কেন
সবাই সালাম করে চলে ।

সাধ ছিল আশা ছিল
বাঁধব সুখের ঘর,
দশজন যেমন বাঁচে
নিয়ে আপন পর।

মেয়েদের চাকরি মেলে
ছেলেরা  দেশের বেকার,
হতাশায় নেশা করে
সংসার কত দেখ উজাড় ।

আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ
পাখিরা কেমন উড়ে,
ডানাভাঙা পাখী দেখেছ কী কভু
তুষের আগুনে কেমন পোড়ে ?

নেতার কাজে  জিম্মি জীবন
বিক্রি আজ কত মন,
এদিকে ওদিকে খুনখারাবি
নেতার পথে নিত্য বিপণন ।

চেয়ে দেখ পিছে আমাকে দিয়ে
করেছে কে ক্ষমতার ব্যবহার ?
আজ সাধু সেজে প্রস্থে ও দিঘে
আমাকে সে চেনে না আর।

আগে নিজের ভুল স্বীকার করো
তারপর সমাজ সংসার,
তুমি না শোধরালে এমন অপরাধী
জন্মাবে এদেশে  বারবার।

ছোটো গল্প : স্বার্থপর

স্বার্থপর......... 

    মিনহাজউদ্দিন মন্ডল,

(রচনাকালঃ ২৮,০৮,২০১৮)

দিনটি ছিল আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ, সূর্য উঠার পূর্বে মধ্য রজনীর জোছনায়
আকাশের বুক চিরে পৃথিবীর কোলে জন্ম নিল
এক টুকরো চাঁদ।
৯ টি মাস অনেক কষ্ট দিয়েছি মাকে
কিন্তু পৃথিবীর স্বাদ পেতেই
আমি শুধু মা এর নই, আমি বাবার, আমি দাদার, আমি নানার, আমি নানুর
কত নতুন পরিচয়ে আমি পরিচিত, কত নতুন নামে আমি চিহ্নিত
আমার একটি জাত আছে, একটি বংশ আছে
আমি শুধু মা এর নই, আমি কত শত পরিচয়ে পরিচিত
আমি খুবই স্বার্থপর.....................
আমার মুখের হাসি দেখে মা ভুলে গেছে তার যন্ত্রণার ৯ টি মাস
মা এর মুখে হাসি দেখে আমি ভুলে গেছি আমি মা এর নাড়ি ছেঁড়া স্পন্দন
আমি খুবই স্বার্থপর..................
প্রথম সন্তান ছেলে হবে এমনটাই কামনা ছিল সবার
দাদা দাদি মেয়ে হয়েছে বলে অসন্তুষ্ট
যদিও নাতনির মুখ দেখে অভিমান এর রেশ আর ছিলনা
অথচ, মা যখন বাবার সাথে অভিমান করত
আমি তখন বাবার সাথে চলে যেতাম দাদু বাড়ী
মা চোখের জলে আমার পথ চেয়ে থাকতো
আমি খুবই স্বার্থপর............
নানু বাড়ী বড় হয়েছি
তাই নানু, নানা, সবাইকে অনেক বেশি ভালোবাসি
চাচা ফুফুদের খুব সম্মান করি কিন্তু কতটা ভালোবাসি
বলতে পারবনা
আমি খুবই স্বার্থপর.........
স্কাউট করতাম বলে প্রিয় শিক্ষক আতিক স্যার
অনেক বকাবকি করত
বলত, তোমার পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে, এসব বাদ দিয়ে পরালেখায় মন দাও
তখন বুঝতে না পারলেও এখন বুঝতে পারছি স্যার কেন বলত
আমি অবাধ্য ছিলাম
আমি খুবই স্বার্থপর...............।
(রবীন্দ্রনাথ বলেছে, প্রথম যৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম ... অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়”)
প্রেম এসেছিল নিরবে
অভিমানে বিলীন হয়েছে বিলাসী মন, অভিমানী যৌবন
আমি খুবই স্বার্থপর............।।
বিনে সুতোয় মালা সবাই গলে পরে, আমিও পরেছি
আজীবনের স্বপ্ন বুনেছি কৃষ্ণতলে
প্রতিটি স্বপ্ন এক একটি পদ্য, এক একটি গদ্য
কিন্তু বিদিশার নেশায় খসে পড়া তাঁরার মত মাঝে মাঝে
আমার স্বপ্নগুলো খসে পরে...............
আমি যুদ্ধ চাইনা, আমি শান্তি চাই
যদি চাইতাম, তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ তোমার সাথে আবার হত
কিন্তু সেই যুদ্ধের শান্তিচুক্তি কখনই হতোনা
কারন, আমি সত্যি বড় স্বার্থপর............।

Change your mentality by watching this information

আগে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, দেখেন বদলে যাবে গোটা পৃথিবী!

যদি.....
A, B, C, D, E, F, G, H, I, J, K, L, M, N, O, P, Q, R, S, T, U, V, W, X, Y, Z = 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12, 13, 14, 15, 16, 17, 18, 19, 20, 21, 22, 23, 24, 25, 26

অর্থাৎ A to Z এর মান যদি এমনভাবে ধরি যেখানে : A=1, B=2, C=3, D=4, E=5, F=6, G=7, H=8, I=9, J=10, K=11, L=12, M=13, N=14, O=15, P=16, Q=17, R=18, S=19, T=20, U=21, V=22, W=23, X=24, Y=25, Z=26

তাহলে....
Hard Work:
H+A+R+D+W+O+R+K= 8+1+18+4+23+15+18+11=98%

Knowledge:
K+N+O+W+L+E+D++E=
11+14+15+23+12+5+4+7+5=96%

Luck:
L+U+C+K=
12+21+3+11=47%

অর্থাৎ এদের কোনোটাই 100% স্কোর করতে পারেনা, তাহলে সেটা কী যা 100% স্কোর করতে পারে???

Money?? না, এটা 72%
Leadership?? না, এটা 97%

তাহলে??

সব সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব, যদি আমাদের থাকে একটা পারফেক্ট Attitude বা দৃষ্টিভঙ্গি
হ্যা, একমাত্র Attitude ই আমাদের জীবনকে করতে পারে 100% সফল......

A+T+T+I+T+U+D+E=
1+20+20+9+20+21+4+5=100%

সুতরাং দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে।