Tuesday, January 8, 2019

পিতা-মাতার মৃত্যুর পরে সন্তানের ৪০টি দায়িত্ব

পিতা-মাতার মৃত্যুর পরে সন্তানের ৪০টি দায়িত্ব



১. পিতা-মাতার গোসল, কাফন ও দাফনের ব্যাবস্থা করা।
২. পিতা-মাতার খরচাদির জন্য অসন্তুষ্ট না হওয়া।
৩. শরিয়তের বিধান অনুযায়ি শোক অনুষ্টানের আয়োজন করা।
৪. পিতা-মাতার ওসিয়ত অনুযায়ি আমল করা এবং এ ক্ষেত্রে অন্যদের কথা অনুযায়ি আমল না করা।
৫. দাফনের রাতে নামাজে ওয়াহসাতে কবর পড়া।
৬. পিতামাতার গোসল,কাফন এবং দাফনের কাজে যারা সাহায্যে করেছে তাদের পারিশ্রমিক দেয়া আর না পারলে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।
৭. পিতামাতার ঋণকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধ করা।
৮. যদি পিতা-মাতা সম্পদ ভাগাভাগি করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন তাহলে অন্যান্য ওয়ারিশদের মাঝে তা ভাগ করে দেয়া।
৯. পিতা-মাতার জন্য প্রত্যেকদিন কোরআন পাঠ করা। সম্ভব না হলে অন্তত পক্ষে নামাজের পরে তিনবার সুরা ইখলাস পাঠ করে তাদের রূহের উদ্দেশ্যে হাদীয়া করা।
১০. প্রত্যেক নামাজে পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা। বিশেষত তাহজ্জুদের নামাজে, হজ্বে এবং যিয়ারতের সময়।
১১. প্রত্যেকদিন তাদের জন্য সাদকা দান করা যা একটির বিনিময়ে ৭০ হাজারের সমপরিমাণ তাকে দান করা হবে।
১২. যদি সম্ভব হয় তাহলে প্রত্যেকদিন মাগফিরাতে ওয়ালেদাইনের নামাজ পড়া।
১৩. পিতা-মাতাকে হারানোর কষ্টের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা।
১৪. পিতা-মাতার কাযা নামাজগুলো নিজে বা অন্য কাউকে অর্থ দানের মাধ্যমে আদায় করা।
১৫. পিতা-মাতার কাযা রোজাগুলো নিজে বা অন্য কাউকে অর্থ দানের মাধ্যমে আদায় করা।
১৬. পিতা-মাতার কবর যিয়ারতের জন্য যাওয়া। তাহলে হজ্বের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।
১৭. কবরস্থানে যেয়ে পিতা-মাতার কবরের কাছে কোরআন, আয়াতুল কুরসী এবং দুরুদ শরীফ পাঠ করা।
১৮. মাসুম (আ.)দের কবর যিয়ারত করার সময় পিতা-মাতার পক্ষ থেকেও যিয়ারত পাঠ করা।
১৯. পিতা-মাতার পক্ষ থেকে ওমরা হজ্ব পালন করা। আর ওয়াজিব হজ্ব হলে তাদের পক্ষ থেকে তাওয়াফ করা।
২০. যদি পিতা-মাতার সামর্থ ছিল কিন্তু হজ্বে যেতে পারেনি। তাহলে তাদের পক্ষ থেকে ওয়াজিব হজ্ব আদায় করা আর তাদের সামর্থ ছিল না তাহলে তাদের পক্ষ থেকে হজ্ব আদায় করা মুস্তাহাব।
২১. যদি পিতা-মাতার প্রতি কেউ অসন্তুষ্ট ছিল তাহলে কথা বা অর্থের মাধ্যমে হলেও অসন্তুষ্ট ব্যাক্তির সন্তুষ্টি অর্জন করা।
২২. যদি পিতামাতা তাদের অজান্তে কোন অত্যাচার করেছিল এমনটি ধারণা করলে তাদের পক্ষ থেকে ফকিরকে দান খয়রাত করা।
২৩. যদি কারো সামর্থ থাকে তাহলে প্রতি সপ্তাহে বা মাসে তাদের রূহের মাগফেরাতের জন্য শোকানুষ্ঠানের আয়োজন করা।
২৪. পিতা-মাতার ভাল কাজগুলোর পুণরাবৃত্তি করা।
২৫. পিতা-মাতার অসমাপ্ত ভাল কাজগুলোকে সমাপ্ত করা।
২৬. যদি সন্তান জানে যে তার পিতামাতা অপরের সম্পদকে জবরদখল করেছিল তাহলে প্রাপ্য হকদারের কাছে তা ফিরিয়ে দেয়া।
২৭. পিতা-মাতার যদি খুমস বা যাকাত বাকি থেকে যায় তাহলে তা আদায় করা।
২৮. কারো পিতামাতার উদ্দেশ্যে খারাপ কথা না বলা যেন তারাও অনুরূপভাবে পাল্টা জবাব দেয়।
২৯. সমাজে এমন কাজ না করা যেন লোকজন তার পিতামাতার উদ্দেশ্যে খারাপ কথা বলে।
৩০. লোকজনের সাথে ভাল ব্যাবহার করা যেন তারা তাদের জন্য দোয়া করে।
৩১. পিতামাতার পরিচিত ও বন্ধু-বান্ধবদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। কেননা তারা সন্তানের আচরণের কারণে তার পিতামাতাকে স্মরণ করবে।
৩২. পিতা-মাতার সম্ভাবনাময় বীপদের কথা চিন্তা করে দান করা যেন তারা পরিত্রাণ পায়।
৩৩. পিতা-মাতার তৈরী জিনিষগুলোর রক্ষণা বেক্ষণ করা। যেন তারা সন্তুষ্ট হয়।
৩৪. পিতামাতার যিয়ারতের উদ্দেশ্যে চাচা, ফুফু, মামা এবং খালার সাথে সাক্ষাত করতে যাওয়া।
৩৫. কেউ যদি মনে করে যে সে তার পিতামাতার জীবদ্দশায় তাদের হক্ব আদায় করতে পারেনি তাহলে তাদের মৃত্যুর পরে তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে সেই কাজগুলো সম্পাদন করা।
৩৬. পিতা-মাতাকে স্বপ্নে দেখার চেষ্টা করা যেন তাদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
৩৭. পিতামাতার মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে দান খয়রাত, সাদকা, যিয়ারতকে অব্যাহত রাখা। সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে ভুলে না যাওয়া।
৩৮. পিতা-মাতার নাম এবং কবরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং অসম্মান না করা।
৩৯. পিতামাতাকে হারানোর কষ্টকে সর্বদা মনে রাখা।
৪০. পিতামাতার কবরকে সংরক্ষণ করা। তা ভেঙ্গে গেলে তা পুণরায় সংষ্কার করা।

No comments:

Post a Comment