Tuesday, August 13, 2019

কবিতা: রক্তাক্ত স্বাধীনতা

  মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা শিকল দিয়ে বাধা ।
মুক্ত মনের মানুষ আছে অন্তরেতে কাদা।
স্বাধীন দেশে বাস করে তাই মৃত্যু ভয়ে আছি।
অত্যাচার আর  নিষ্টুরতা সহ্য করে বাঁচি।

চোখের সামনে দিনের বেলা ঘুরছে কত খুনি।
মানুষ মারা পেশা এখন সবার কাছে শুনি।
দিন-দুপুরে চাকু মেরে নিচ্ছে কেড়ে সবি।
স্বাধীনতা থমকে গেছে তুলছে সবাই ছবি।

দিবা লোকে কোপাকুপির দৃশ্য দেখি চেয়ে
প্রাণ বাঁচাতে যুদ্ধ করে অবলা এক মেয়ে।
দেখে মোরা দেখি নাতো প্রাণ যদি যায় চলি।
মৃত দেহের পাশে বসে হাজার কথা বলি।

ফেমাস হতে সেলফি তুলি দর্শীতাদের সাথে।
বড় বড় কথা বলি দিনে কিবা রাতে।
তাজা রক্ত মিশে থাকে গলা কাঁটা লাশে।
ধর্ষণের ঐ শিকার নারীর কেউ থাকেনা পাশে।

দেখতে মানুষ মানুষতো নই মনুষ্যত্ব  নেইতো।
ফেইবুকেতে স্টেটাস দিয়ে ফেমাস হচ্ছি এইতো।
বাস্তবতা সামনে এলে আমরা সবাই অন্ধ।
সবার আগেই প্রাণ বাঁচাতে মুখটি করি বন্ধ।

আগের যুগের মানুষগুলোর সাহস ছিল বেশি।
বজ্র কণ্ঠে আওয়াজ দিত শক্ত ছিল পেশী।
প্রতিবাদে স্লোগান দিতে তারা সবাই জানতো
ছেলে বুড়ো সবাই মিলে একই নীতি মানতো।

একতা নেই মোদের মাঝে এমন কিছু করছি।
সন্ত্রাসীদের আক্রমনে পথে-ঘাটে মরছি।
পূর্বপুরুষ বীর বাঙ্গালী  ভয় ছিলনা মনে।
উত্তরসূরী হয়ে তবু লুকিয়ে থাকি বনে।

জিম্মি হয়ে বাঁচবনা আর বাংলা মায়ের বুকে।
শক্ত হাতে রুখব মোরা থাকব অনেক সুখে।
নিজের হাতে গড়ব মোরা স্বাধীনতার স্তম্ভ।
সবাই মোরা এক হলে ভাই ভাঙ্গবে সকল দম্ভ।

প্রতিহত করব মোরা হাতে রেখে হাতটি।
মুছে দেব এক নিমিষেই আধার কালো রাতটি।
প্রতিহত করব মোরা থাকব কঠিন বেশে।
খুন খারাপি বন্ধ হবে লাল সবুজের দেশে।

No comments:

Post a Comment