Monday, December 30, 2019

ইসলামিক দৃষ্টিতে শিক্ষামূলক ভ্রমণ


                                                                    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম 

*তোমরা ভ্রমণ করে তাঁর (আল্লাহর) অভিনব সৃষ্টিরাজি অবলোকন করো। [সূরা আনকাবুত : ২০*]

                                          *ভ্রমণের উপকারিতা*

১. আত্মার প্রশান্তি দান ও মানসিক অবস্থার পরিবর্তন;

২. দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও স্থান সম্পর্কে ধারণা লাভ;

৩. মানুষের নানামুখী স্বভাব-চরিত্রের সাথে পরিচিত হওয়া;

৪. নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন ও যোগ্যতার বিকাশ সাধন;

৫. মুসলিম ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক শক্তিশালীকরণ;

৬. সর্বোপরি সৃষ্টিজগৎ সম্পর্কে নানামুখী জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি।

*যে ব্যাক্তি নেক কাম করবে সে পুরুষ হোক বা নারী, যদি সে ইমান দার হয় তাহলে তাকে পবিত্র জীবন দান করা হবে (সুরা নাহলঃ৯৭*)

                              *একজন মুসলিমের জন্য ভ্রমণকালীন বেশ কিছু করণীয়*

১. দোয়া পড়ে ভ্রমণে বের হওয়া।

২. ভ্রমণসঙ্গী তিনের অধিক হলে পরামর্শের ভিত্তিতে একজনকে আমির বানিয়ে তাকে অনুসরণ করা।

৩. সকাল-সন্ধ্যার দোয়াসহ অন্যান্য দোয়া কালাম যথাসময়ে যথাস’ানে পড়া।

৪. দূরের ভ্রমণে সালাত কসর করা।

৫. অন্যান্য ফরজ-ওয়াজিব, হুকুম-আহকাম পালন করা।

৬. যথাযথ পর্দা মেনে চলা।

৭. সুস’ ধারার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি গ্রহণ করা।

৮. ভ্রমণ বা দর্শনীয় স্থানের আইন-কানুন মেনে চলা ইত্যাদি।


                                                           *ভ্রমণে নিষিদ্ধ* 

ভ্রমণকালে একজন মুসলিমকে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক হতে হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে ভ্রমণের নিষিদ্ধ বিষয়গুলো হলো :

১. অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও দৈহিক আকৃতি প্রকাশ পায় এমন পোশাক পরিহার করা।

২. গাইরি মাহরাম [যার সাথে বিবাহ বৈধ] এর সাথে ভ্রমণ না করা।

৩. কোনো কিছুর অপচয় না করা।

৪. হারাম ও নিষিদ্ধ পর্যায়ে পড়ে এমন কথাবার্তা ও আচার-আচরণ পরিহার করা।

৫. জীবজন’, গাছপালা, ফুল-ফল বিনষ্ট না করা ইত্যাদি।

>>>>>>>>>>>>>>>>>  Collected by MINHAJUDDIN MONDAL
Contact: *7797243129*

Saturday, December 28, 2019

Check your name in the New Voter List

Dear people of India,,, you are requested to check your name and details in the new voter list by clicking on the "CHECK YOUR NAME HERE"... and make sure about your details...

প্রিয় ভারতীয় জনগণ,,, আপনাদের নিজের নাম এবং বিস্তারিত জিনিষ নতুন ভোটার তালিকায় চেক করে নিন "এখানে আপনার নাম চেক করুণ"...  এবং  নিশ্চিন্তে থাকুন আপনার তথ্য সম্পর্কে।


*চেক করার নিয়মঃ-*
*(১) EPIC No* এর পাশে ভোটার কার্ড নাম্বার বসান । 
*(২) Enter Capcha* জায়গায় দেখুন ওর নিচে ৬ টি সংখ্যা দেখাচ্ছে ওটা দেখে দেখে বসিয়ে দিন । 
*(৩) 🔎 Search* টাচ করুন আপনার নাম দেখাবে ।
[ যদি একবার না হয় ৩, ৪ বার চেষ্টা করুন]
*নতুন ভোট তোলার শেষ সময় ১৫ই জানুয়ারী ২০২০,  তাড়াতাড়ি নিজের ভোট কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন ।*

----অধম মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

Friday, December 27, 2019

কবিতা : তিনটি উপদেশ >> মিনহাজউদ্দিন মন্ডল


শোনো তিন‌টি কথা
বল‌বো সকলের ত‌রে,
এগু‌লো ম‌নে রে‌খো
সারাটা জীবন ধ‌রে।

এক.
তোমার কাজ কখ‌নোই
কেউ দি‌বেনা ক‌রে,
আজ‌কের কাজটি তাই
রে‌খোনা কাল‌কের ত‌রে।

দুই.
আজ‌কের রাখা কাজ
কাল‌কে হ‌বে বোঝা,
সেই কাজ করা
কখ‌নোই হ‌বেনা সোজা।

তিন.
প্র‌তি‌ দি‌নের কাজ
ক‌রো ধৈর্য্য ধ‌রে,
ত‌বেই উন্ন‌তি ধন
আস‌বে তোমার ঘ‌রে।

কবিতা: ব্লাক মেইল >> মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

এক অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার ফলাফল নিয়ে লেখা আমার এই ছোট্ট কবিতা "ব্ল্যাক মেইল"  আশা করছি
যে, বর্তমান যুগের প্রেমিক-প্রেমিকারা এই কবিতাটি পড়ে নিজেদের মান-সন্মান এর জন্য একটু হলেও ভাববে। আর তখনই আমার এই কবিতাটি লেখার উদ্দেশ্য স্বার্থক হবে!!  --- অধম মিনহাজউদ্দিন মন্ডল,,, 
রচনা- ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ (আমার জন্মদিন)........ সময় - সন্ধ্যা ৬:৩৫ মিনিট,, 


 এক বার দুই বার
ক‌রে ক‌রে সারা বছর অ‌বিরত,
দুষ্ট আত্মা জে‌গে উ‌ঠে‌ছে
বহু মাথা বি‌শিষ্ট দান‌বের ম‌তো।

এই ঘ‌রের কোনায় কোনায়
ভি‌ডিও ক্যামেরা লাগা‌নো আ‌ছে জা‌নো,
ফাস ক‌রে দিবো সব
আর একবার আমার কথা মা‌নো।

মান‌লে ম‌নি‌বি না মান‌লে যে
ভি‌ডিও সব কর‌বো আপলা‌েড,
আর একবার ভে‌বে দেখ
তখন তুই কতটুকু পা‌বি চোট।

আমার কথা বাদই দে
কে তো‌রে কর‌তে যা‌বে বিয়ে?
লজ্জায় তু‌ই মরেই যা‌বি
না‌লিশ করবি? করনা অন্যজ‌নে গি‌য়ে।

আমার বাবা মস্ত বড়
ভা‌লো ক‌রেই তা‌রে চি‌নিস,
কেস কর‌লে জে‌নে রা‌খিস
শুরুর আ‌গেই হয়ে যাবে ফি‌নিস।

শুধু শুধু কেন তুই
কর‌তে যা‌বি এ‌তো সব ঝামেলা?
আর মাত্র এক বার
তা‌তেই সব চু‌কে যা‌বে মামলা।

আর য‌দি ভু‌লেও কখন‌ো
আমার কথার অবাধ্য হ‌তে চাস,
কি ভে‌বে‌ছিস আস্ত থাক‌বি?
চো‌খের পল‌কেই  হ‌য়‌ে যাবি‌ লাশ।

Thursday, December 26, 2019

English Poetry: "Shadow" >> Minhajuddin Mondal

If there is shadow,
               there must be a light,
Surely you are not alone,
                      think false or right.

There is no tree alone
                     under the open sky
A lot of birds can be seen
                               around to fly.

An island is a beauty,
                     suspense is its distance,
People enjoy a hill
                       as well as its silence.

Adam was punished and
                              sent to this earth,
Not Eve forgot normal life
                                and her hearth.

Don't be pessimistic as
                                 there is always hope,
All are attached with Almighty
                                  with an unseen rope.

How can a man or woman
                                     be alone forever?
As the person is attached with
                                   mighty Forgiver.


DATE: 27th December, 2019 (Friday)
Time: 01:25 p.m.

কবিতা: সিসি ক্যামেরা লাগেনা >> মিনহাজউদ্দিন মন্ডল


আখেরাতের ভয় থাকলে,
সিসি ক্যামেরা লাগেনা৷
ছেলে মেয়ে একত্র হলেও,
প্রেম পিয়াসা জাগেনা৷

সোনা রুপা পরে থাকলেও,
হাত দিয়ে কেউ ধরেনা৷
রাতের আঁধারে খালি ঘরে,
কেউ তো ঢুকে পরেনা৷

আখেরাতের ভয় থাকলে,
সিসি ক্যামেরা লাগেনা৷
দোকান থেকে চুপিসারে,
মাল নিয়ে কেউ ভাগেনা৷

অন্যের জমির আইল ভাই,
ভুলেও কেউ ঠেলেনা৷
না বলে কারো গাছের ফল,
কেউতো খেয়ে ফেলেনা৷

আখেরাতের ভয় থাকলে,
অফিস ফাঁকি কেউ দেয়না৷
ফাইল পত্র আটকে রেখে,
ঘুষতো তো কেউ নেয়না৷

আখেরাতের ভয় থাকলে,
ডাকাতি কেউ করেনা৷
হালাল রুজি খায় সবাই,
হারামের ধার ধারেনা৷

সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তো,
মনের রোগ ভাই সারেনা৷
সিসি ক্যামেরা চলছে ঠিকই,
মানুষ তো ভাই শুধরেনা৷

আখেরাতের ভয় থাকুক,
কিছু লোকে চায়না৷
সমাজ থেকে তাইতো এখন,
ঘুষ দূর্নীতি যায়না৷

26/12/2019

কবিতা : "খাদ্য শৃঙ্খল" >> মিনহাজউদ্দিন মন্ডল


সা‌পের খাওয়া শে‌ষে, 
প‌রে থা‌কে শামু‌কের খোলসটা,
এমন এক সমা‌জে 
প‌রিনত হ‌য়ে‌ছে পু‌রো সমাজটা।

বা‌ঘের খাওয়া শে‌ষে, 
প‌রে থা‌কে হরি‌ণের হাড়ক'টা,
এমন এক সমা‌জে 
প‌রিনত হ‌য়ে‌ছে পু‌রো সমাজটা।

মানু‌ষের খাওয়া শে‌ষে
ভু‌লেও রা‌খেনা খাওয়ার চিহ্নটা,
এমনই এক সমা‌জে 
প‌রিনত হ‌য়ে‌ছে পু‌রো সমাজটা।

মানুষ‌তো ‌যে‌নো ভু‌লে‌গে‌ছে
মানুষ আর পশুদের পার্থক্যটা,
এমনই এক সমা‌জে 
প‌রিনত হ‌য়ে‌ছে পু‌রো সমাজটা।

সামা‌জিকতার বালাই নেই
পু‌রোপু‌রি খাদ্য শৃঙ্খ‌ল এ'সমাজটা 
এমনই এক সমা‌জে 
প‌রিনত হ‌য়ে‌ছে পু‌রো সমাজটা।

English Poetry : "Become the Same" // সমান সমান হ‌য়ে যাও"// >>Minhajuddin Mondal

O dear!
While you love yourself,
l love you,
Would you please tell me
Which one is better view?

If you listen to me
I'll explain my view,
Then I'll give you time
To explain your view.

You love one
I love two,
I am better
As I tell you.

Do you want to 
See you less active,
Love me and become the same
By changing your motive.





হে প্রিয়!
তু‌মি তোমা‌কে ভা‌লোবা‌সো 
আর আ‌মি ভা‌লোবা‌সি তোমা‌কে। 
দয়া ক‌রে বল‌বে 
ভা‌লো প্রে‌মি বল‌বে কা‌কে?

য‌দি তু‌মি আমার কথা শ‌োনো, 
আমার দৃ‌ষ্টি ভ‌ঙ্গি ব্যাখা কর‌বো, 
তারপর সময় দি‌য়ে 
তোমার কথাও শোন‌বো।

তু‌মি ভা‌লোবা‌সো একজন‌কে 
আর দুজন‌কে ভা‌লোবা‌সি আ‌মি, 
তাহ‌লে আ‌মিই  ভা‌লো 
যেমনটা বুঝ‌লে তু‌মি।

তোমা‌কে কি তু‌মি 
ছোট দেখ‌তে চাও, 
আমা‌কে ভা‌লো‌বে‌সে 
সমান সমান হ‌য়ে যাও।

Tuesday, December 24, 2019

ছোটগল্প : বাবা-মায়ের পরিচয় >> মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

"একবার এক জুনিয়রের সাথে গল্প করতে করতে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমার বাবা কি করেন? 

ছেলেটা বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো ... কেমন যেন দ্বিধা করছিলো বলতে ... এরপর মাথা নিচু করে মৃদু স্বরে বললো, আমার বাবা দিনমজুরের কাজ করে !!

আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি এটা বলতে লজ্জা পাচ্ছো?

ছেলেটা বললো, জ্বী ভাই। লোকে তাচ্ছিল্য করে এটা শুনলে। ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড দিয়ে জাজ করে। 

আমি খুব অবাক হলাম ... ছেলেটাকে বুঝালাম ... তোমার বাবা এত কষ্ট করে দিনমজুরের কাজ করেও তোমাকে এত বড় করেছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াচ্ছেন, মাসে মাসে টাকা পাঠাচ্ছেন এবং সেই টাকা দিয়ে তুমি এত স্মার্টলি চলতেছো ... সেই বাবার পরিচয় দিতে তোমার লজ্জা লাগবে কেন? ... তুমি মাথা উঁচু করে বলবা, তোমার বাবা একজন দিনমজুর এবং তার জন্যই তুমি এতদূর এসেছো !!

আরেকবার এক বন্ধু তার প্রেমিকার কাছে বাবার পেশা নিয়ে মিথ্যে বলেছিল ... কারণ তার বাবা কোন একটা প্রতিষ্ঠানের বেশ ছোট পোস্টে চাকরি করেন - এটা শুনলে তাদের বিয়ে ভেঙ্গে যাবে ... কি অদ্ভুত !!

আমাদের চিন্তা-ভাবনাগুলো বোধহয় একটু পরিবর্তন করা দরকার ... ২০-৩০-৪০ বছর আগে ঠিক কোন পরিস্থিতিতে আমাদের বাবা-মা ছিলেন, এটা আমাদের কল্পনার বাইরে ... অভাবের সংসারে অনেকে পড়াশুনার সুযোগ পায় নি ... অনেকের ভাগ্য সহায় হয় নি ... তখনকার সময়ে পড়াশুনা কিংবা ক্যারিয়ারের পথটা এতটা সহজ ছিল না ... আর্থিক সামর্থ্যও একটা বড় ইস্যু ছিল !! 

এত প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও যাদের বাবা-মা অ্যাকাডেমিক লাইফ এবং ক্যারিয়ারে শাইন করতে পেরেছেন, তাদের স্যালুট ... যারা পারেন নি, কিন্তু অনেক স্ট্রাগল করে তাদের ছেলেমেয়েদেরকে বড় করেছেন এবং করছেন, তাদের পেশার পরিচয় দিতে সমাজের তথাকথিত অ্যাপ্রুভালের ভয়ে আমাদের লজ্জা পেতে হবে কেন?

অভাবের সংসারের কারণে আমার বাবার পড়াশুনা বেশিদূর আগায় নি ... গ্রাম থেকে শহরে এসে হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজে বছরের পর বছর ভয়াবহ কষ্ট করে গেছে সে ... বিয়ের পর ৩ হাজার টাকা ভাড়ার একটা বাসা নিয়ে ঢাকায় থাকা শুরু করে ... ছোটখাটো পোস্টের সেইসব চাকরি করে সীমিত ইনকাম দিয়ে আমাকে আর আমার বোনকে বড় করছে বাবা !!

বাবা অনেক কিছু বুঝে না ... বাবা ফাইনান্স বুঝে না, মার্কেটিং বুঝে না ... কিন্তু আমার রিসার্চের কাজে ১০ জন মানুষের ডাটা লাগতো, সেই ফর্ম বাবা পূরণ করে এনে দিছে আমাকে ... বাবা বুঝে না কিভাবে উবার কল করতে হয় ... এই বাবাই আমাকে রাস্তায় চলা শিখিয়েছে !! 

বাবা ফেইসবুক কিভাবে চালাতে হয় - অত ভালভাবে বুঝে না ... প্রায়ই এসে বলে, মেসেঞ্জারে অমুক কে কল দিবো কিভাবে একটু দেখায় দেও ... এই বাবার রক্ত পানি করা টাকা দিয়ে নেটের বিল দিয়ে দিয়ে আমি ফেইসবুকে এত লেখা লিখি গত ৬-৭ বছর ধরে !!

বাবার শিক্ষা, চাকরি কিংবা অন্যান্য দিক দিয়ে যে লিমিটেশন আছে, সেই পরিচয় দিতে 'লোকে কি বলবে' - এটা ভেবে আমার লজ্জা লাগবে কেন? ... 'অমুকের পরিবার মেনে নিবে না' - এই ভেবে বাবার পেশাকে লুকাতে হবে কেন? 

আমার আরো গর্ব হয় যে বাবা এত লিমিটেশন নিয়েও তিল তিল করে আমাকে বড় করছে ... আজকে আমার যত অ্যাচিভমেন্ট, যত ডিগ্রি, আমার যা পরিচয় - সবকিছু আমার বাবার জন্য ... সেই বাবা দিনমজুর হোক, পিয়ন হোক, কৃষক হোক কিংবা যা খুশি হোক - সেই পরিচয়ে আমার কিংবা যে কোন সন্তানের গর্ব হওয়া উচিত !!

আমি আমার শিক্ষাজীবন কিংবা আমার ক্যারিয়ারে যত উঁচুতে উঠি, আমার কাছে আমার বাবার অবস্থান তার চেয়েও বেশি উঁচুতে ... দিনশেষে আমরা যতই স্মার্ট হই, আর আমাদের বাবা-মা যতই তথাকথিত 'আনস্মার্ট' হয়ে থাকুক, তাদের পরিচয় দিতে গিয়ে কখনোই যেন মনে দ্বিধা কিংবা লজ্জা না আসে !!

গর্বের সাথে বাবা-মায়ের পরিচয় দিতে সমাজের মানুষের তথাকথিত স্বীকৃতির কোন প্রয়োজন নেই !!" 🙂

কবিতা : জ্বালো মানবতার আলো

মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

হে মানব সন্তান, 
        হে সৃষ্টির সেরা জীব,
ক্রমেই নেমে যাচ্ছ নিচে, 
      চোখ খোল ভীরু ক্লীব।

     হে শ্রেষ্ট মানব সন্তান 
             আজ হারিয়ে মানবতা,
           পশুত্বের করিছো লালন 
               চারদিকে পাশবিকতা।

             ত্যাজিয়েছ সততা আর 
                   সত্যের বাণী,
          তাই পশুর মতই শুধু 
                         করো হানাহানি।

ওরে বেখেয়াল বেখবর 
তোমরা জাগ্রত হও,
সময়ের সাথে তাল রেখে 
দ্রুত সম্মুখে বও।

 জাগে বিস্ময়! কেমনে 
            ভুলে আছো নিজেকে,
      কখন হবে চেতন জাগাবে 
             সবারে ডেকে ডেকে।

তুমি আগে জেগে উঠো, 
জাগবে সকলি,
পশুদের হাতে আর হবেনা 
মনুষত্বের বলী।

জ্বালো, জ্বালো 
              মানবতার আলো,
         চারিধারে ছেয়ে গেছে 
              আধাঁরের কালো।

মানবতার গাও জয়গান, 
           হে সৃষ্টির সেরা জাতি,
        নীরবে সহিওনা পশুর পীড়ন, 
                      আঘাত নিয়োনা মাথা পাতি।

    গর্জে ওঠ, ধরো হাতিয়ার, 
    হে মানব সন্তান,
পশুতে করিছে আজ 
           মানুষের রক্ত পান। 

জাগাও শীর উচু কর 
বাহু দুইখান,
মিথ্যে সভ্যতার আড়ে লুকিয়েছে 
পশু শয়তান।

আজ কালোথাবা 
            হানিতেছে দেশে দেশে,
       আজ খুঁজে বের করো, 
                  লুকানো কোন ছদ্মবেশে।

হয়তো তোমার ভাইয়ের রূপ ধরে 
        তোমাতেই আছে মিশে,
ঐ পাপাত্মারে বলী দাও, 
         খর্ব করো এক নিমিষে।

          জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দাও 
                      গোপন আস্তানা,
      লিখে রাখো পশুদের 
                   অজানা ঠিকানা। 

কবিতা : ।।সংখ্যা লঘু।।


  (মিনহাজউদ্দিন মন্ডল)

এই দুনিয়ায়, যারা সংখ্যায়
  আছে কিছু কম।
তাদের উপর, জীবন ভর
   চলে নির্বাচন।

তারা সংখ্যালঘু,বলে কভু
   পায়না কোন দাম।
জীবন ভর, খায় লাথি চড়
   তাদের বিধি বাম।

নেতারা সকল,ভোটের পাগল
   ভোট যাদের বেশি।
তাদের সবার,নেয় যে খবর
    ডেকে মাসি পিসি।

যদি ভাল ভাগ্য, হবার যোগ্য
    চাও নিজেরা হতে।
যতো পারো, ভোটার করো
     নিজ স্বজাতিতে।

জন্ম নিয়ন্ত্রন,করে বর্জন
      ঘুচাও অভিশাপ।
থাকলে ভোটার,বেশি তোমার
     ডাকবে সবে বাপ।

যদি সংখ্যালঘু,থেকে কভু
  পেতে চাও অধিকার।
তোমার বেলায়,কাটবে হেলায়
    সম্ভব নয় দিবার।

এই দুনিয়ায়,কোন জায়গায়
   থেকো না সংখ্যালঘু।
যদি শিরদাড়া,তুমি করে খাড়া
    বাঁচতে চাও কভু।

কবিতা : ☆★☆ "যীশুর জন্ম" ☆★☆


  ¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤
      মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

মা কুমারী তবুও গর্ভে
জন্ম যীশুর ঐশবলে, 
শুন্য হোতে এলো জ্যোতি
জন্ম নিল আস্তাবলে!

মাতা মেরী পিতা যোসেফ
জেরুজালেমের বেৎলেহেমে, 
আলোর রোশনি ভাসিয়ে দিল
পাপ বিচরণ গেল থেমে।

দূরদূরান্তের প্রান্ত থেকে
দেখতে এলো দলে দলে, 
মা কুমারী তবুও গর্ভে
জন্ম যীশুর ঐশবলে! 

ঈশ্বর পূত্রের প্রেমের বাণী
প্রচার যেন মন্ত্রবলে,
মা কুমারী তবুও গর্ভে
জন্ম যীশুর ঐশবলে !!
   -------☆------

Sunday, December 15, 2019

আমার ছোটো-ছোটো ভাই-বোন, ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কিছু উপদেশ

       ---   ---   মিনহাজউদ্দিন মন্ডল (মিনজাজ দা)  ---   ---

👉আজ যে ঘটনাটা নিয়ে তুমি কাঁদছো, কয়েক মাস কিংবা কয়েক বছর পর পিছন ফিরে ঐ একই ঘটনার কথা মনে পড়লে খেয়াল করবা, তোমার আর কান্না পাচ্ছে না।
""
👉কোন কোন ক্ষেত্রে পিছনের ঐ কান্নার ঘটনার কথা মনে করলে তুমি হেসে ফেলবে আর ভাববে “কতটা বোকাই না ছিলাম!”
""
👉তুমি বিশ্বাস করো আর নাই করো, “সময়” নামের জিনিসটা সবকিছু বদলে দেয়।
""
👉চিন্তা ভাবনা, দুঃখ-কষ্ট, ভালোবাসা সবকিছু বদলে দেয়, তোমার ভেতরটাকে সে নতুন করে সাজায়!
""
👉আজ তোমার কাছে যেটা অনেক বেশি “মূল্যবান”, কালবা পরশু ঐটাই “মূল্যহীন” হয়ে যেতে পারে।
""
👉আমাকে অনেকেই মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে, আমি অমুক এর থেকে কষ্ট পেয়েছি ভুলতে পারছি না আমার আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না, ডিপ্রেসড লাগে, আমি কি করবো?
""
👉আমি সবাইকেই বলি, 👉“TIME is a Great HEALER !!”👈
""
👉সময় সব ক্ষত সারিয়ে দেয়, সব দুঃখ ভুলিয়ে দেয় আস্তে আস্তে। সময় নাও।
""
👉ছোটবেলায় একটা খেলনা ভেঙ্গেছিলো দেখে চিৎকার করে কান্নাকাটি করেছো, এখন ঐ খেলনার কোন মূল্য আছে!?
""
👉ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে কতবার কেঁদেছো!
""
এখন রাস্তায় ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলে তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়িয়ে আবার হাঁটা শুরু করো, তাই না?
""
👉আগের মত কি আর কাঁদো তুমি? না তো!
""
👉সময় নাও, সব রোগের ওষুধ হলো সময় নেয়া।
""
👉তোমাকে কেউ কষ্ট দিয়েছে?
""
👉একটু সময় নিয়ে কষ্ট সহ্য করো, এক সময় হয় কষ্টটা ভুলে যাবে অথবা কষ্টটা আর গায়ে লাগবে না কিংবা তুমি এই কষ্টটার কথা মনে করে হাসবে!
""
👉চোখ থেকে না হয় দু ফোঁটা অশ্রু পড়লোই, হাত দিয়ে ঘুমের ওষুধটা কিংবা ফ্যানের সাথের দড়িটা স্পর্শ না করে, হাত দিয়ে বরং অশ্রুটুকু মুছে ফেলো, ট্রাস্ট মি, সব বদলে যাবে এক সময়।
""
👉একটাবার পিছন ফিরে দেখার জন্য হলেও অপেক্ষা করো, সময় নাও মরলেই তো সব শেষ! টিকে থাকো! দেখোই না কি হয়!!


  • ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন,,,,

জেনে নিন আপনি কতটা ম্যাচিউর?

বন্ধুদের চায়ের কাপের ঝড় থেকে পারিবারিক আড্ডা কিংবা অফিসের মিটিং, প্রায়ই আপনি আপনার কাজ দ্বারা ম্যাচুউর ইম্যাচুউরের কাঠগড়ায় নিজেকে দাঁড় করিয়ে দিবেন। ঠিক কি করে বুঝবেন আপনি এখনো ম্যাচুউর নাকি ইম্যাচুউর?? নিচের লেখাটির সাথে মিলিয়ে নিন তো আপনাকে!

১. অহেতুক তর্কে লিপ্ত না হওয়া:
একজন ম্যাচুউর আর ইম্যাচুর মানুষের তফাৎটা এখানেই। মানুষ সবসময় তর্কে জিততে চায়। কিন্তু তর্কে জিততে হলে সবসময় তর্ক করতে হয় না। বুদ্ধিমান মানুষ সবসময় অন্যকে জিততে দেয়।

“You can’t argue with stupidity” – – Jermaine Jackson

ধরুন, কেউ একজন ভুল কিছু নিয়ে তর্ক করছে, আপনি তাকে ভুলটা ধরিয়ে দিলেন। কিন্তু তিনি মানতে নারাজ। তিনি তার ধারনাতেই অটল থাকতে চান। এক্ষেত্রে একজন ইম্যাচুউর মানুষ তার সাথে তর্ক করতেই থাকবে, এবং একজন ম্যাচুউর মানুষ তাকে এড়ায় গিয়ে বলবে, “হ্যা ভাই, আমার জানার ভুল থাকতে পারে, বোধ হয় আপনিই ঠিক।”

২. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ:
মনে করুন, কেউ আপনার কোন উপকার করল। আপনি যদি তাকে বলেন, “আমার যে কি ভালো লাগল আপনি আমার জন্য এতটা করলেন!” কিংবা বললেন “আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ জানাব!” দেখুন ব্যাপারটা আসলে কিছুই না, কিন্তু মুখের দুটো কথাই অনেক কিছু। আপনার সাহায্য কর্তা আপনাকে আবার পুনরায় সাহায্য করতে চাইবে।

“Feeling gratitude and not expressing it is like wrapping a present and not giving it” – William Arthur Ward
তারচেয়েও বড় কথা যখন আপনার কোন কাজের জন্য, আপনার প্রতি কেউ কৃতজ্ঞ থাকবে তখন আপনারো মনে হবে, আপনি সঠিক মানুষকেই সাহায্য করেছেন। এবং ম্যাচুউর মানুষজন এই গুনটি খুবই চমতকার ভাবে রপ্ত করেন।

৩. ক্ষমা করা:
ক্ষমা মহৎ এর লক্ষন একথা আমরা কমবেশি সবাই পড়ি, কিন্তু মানি কজন! একজন ম্যাচুউর মানুষ এটা কখনোই দেখে না, একটা মানুষ কেন ভুল করল। সে সবসময় এটা দেখতে সচেষ্ট থাকে যে, সেই মানুষটা এই ভুল কোন পরিস্থিতিতে করল।

আর একজন ইম্যাচুউর মানুষ কখনোই ক্ষমা করতে জানে না। সে সবসময় ভাবে যে ভুল করে সে ছোট হয়ে যায়, তাই তাকে আর কখনোই দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়া যাবে না।

“The weak can never forgive. Forgiveness is the attribute of the strong” – Mahatma Gandhi

সবসময় একজন বুদ্ধিমান মানুষের উচিত, অন্যের প্রতি সহানূভুতিশীল হওয়া তাকে বোঝা, এবং তাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়া। নাহলে সে কোনদিন আরেকজন ম্যাচুউর মানুষে পরিণত হতে পারে না।

৪. অন্যের জন্য চিন্তা করা:
একজন ম্যাচুউর মানুষ সবসময় অন্যের জন্য চিন্তা করে। একটা কাজ করার আগে, সেই কাজটা তার আশেপাশের মানুষের মানুষের উপর কি প্রভাব পড়বে তাও চিন্তা করে।

একটু লক্ষ করলেই দেখবেন, একজন ম্যাচুউর মানুষ কখনোই পাবলিক প্লেসে সিগারেট ধরাবে না কারণ তা সেখানকার মানুষের জন্য হ্মতিকর হতে পারে। আর একজন ইম্যাচুউর মানুষ সবসময় নিজের চিন্তা করে, নিজের কাছে যেটা ভাল মনে হয় সেটাই করে। কিন্তু এটা আমাদের সবসময় বোঝা উচিত, আমার কাছে যা ভাল অন্য কারো জন্য তা ক্ষতিকর হলেও হতে পারে।

৫. পরিবর্তনকে মেনে নেয়া:
আমেরিকায় যখন প্রথম রেললাইন বসানো হয়, তখন আমেরিকার একদল কৃষক বিদ্রোহ ঘোষনা করেন। তারা কর্তৃপক্ষকে বলেন, ট্রেনের বাঁশির শব্দে তাদের গরু গুলো ছোটাছুটি করে হাত পা ভেংগে ফেলছে। তাই তারা রেললাইন চায় না। আজ আমেরিকা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটা অথচ চিন্তা করা যায়! একসময় তাদের দেশের জনগনই ট্রেন চাইত না। যদি এমন হতো তারা কোনদিনই ট্রেন মেনে নিতে পারছে না। তখন কখনোই আমেরিকার উন্নতি সম্ভব হতো না। ট্রেন থেকে মেট্রো, মেট্রো থেকে প্লেন এর সফর তারা মেনে নিয়েছে আর এভাবেই ক্রমান্বয়ে আজ আমেরিকা এত উন্নতির শীর্ষে। কাজেই উন্নত হওয়ার জন্য পরিবর্তন খুবই দরকার।

“Intelligence is the ability to adapt to change” – Stephen Hawking
একজন ম্যাচুউর মানুষ এটা জানে যে পরিবর্তন কতটা দরকার। তাই সে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকে। কিন্তু একটা ইম্যাচুউর মানুষ সবসময় পরিবর্তনে ভয় পায়।

৬. দায়িত্বশীল হওয়া:
যখন আপনি দেখবেন আপনি দায়িত্ব নিতে শিখবেন, তখন মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করতে চাইবে। মানুষের ভরসা অর্জনের জন্য দায়িত্বশীলতা অনেক বড় একটা গুন।

ধরা যাক, আপনার কোম্পানিতে প্রতিদন্ধী দুজন। তারা দুজনেই প্রোমোশনের জন্য যোগ্য । এখন আপনি কাকে প্রোমশন দিতে চাইবেন! অবশ্যই যে বেশি দায়িত্বশীল তাকে। দায়িত্বশীলতার মধ্য দিয়ে আপনি আপনার সাফল্যের দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে যান।

“The price of greatness is responsibility” – Winston Churchill

একজন ম্যাচুউর মানুষ এটা জানেন তাই তিনি সব সময় দায়িত্বশীল হন। যে কাজ শুরু করেন সেটী ঠিকভাবে শেষ করেন। তারপর অন্য কাজে হাত দেন। কিন্তু একজন ইম্যাচুউর মানুষ তার কাজের প্রতি একটা গুরুত্বশীল হন না, সে কাজ হেলায় ফেলে রাখে। পরিণামে সে তার লক্ষ্যের থেকে কয়েক ধাপ পিছিয়ে যান।

৭. গুরুত্ব দেওয়া:
একজন ম্যাচুউর মানুষ সবসময় একজন ভালো শ্রোতা হন। সে সব সময় সচেষ্ট থাকেন সামনের মানুষ কি বলে তা জানার জন্য। যখন আপনি কাউকে তার কাজ বা কথার গুরুত্ব দেন তখন সেই মানুষটাও আপনার কাজ বা কথার গুরুত্ব দিতে শুরু করে।

তাই গুরুত্ব পেতে হলে, গুরুত্ব দিতে হয় এটা একজন ম্যাচুউর মানুষ জানেন। কিন্তু একজন ইম্যাচুউর মানুষ সব সময় নিজের কথাটাই জাহির করতে চায়। নিজের কথাই সবসময় শুনায় এবং ভাবতে থাকে যে তার কথাই ঠিক। একজন মানুষ যে  সবসময়ই ঠিক হতে পারে না এটা একজন ম্যাচুউর মানুষ জানেন।

নিজের কাঠগড়ায় নিজেকে দাঁড় করানোও কিন্তু এক ধরনের ম্যাচুউরিটির লক্ষণ!

                  সংগ্রহ : মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

Saturday, December 14, 2019

কবিতা: পরগাছার বৃক্ষছেদন >>> মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

দ্বাদশ শতকে, বহু রাজ দীপ, জ্বলে উঠে ভারতের।
সেই অতি আলোক উজ্জ্বলতা, বর্হিদস্যুরা পায় টের।
লোভাতুর দস্যু ছুটে আসে লোভে,রত্ন করিতে লোপাট।
আরব দস্যু বার বার ভাঙ্গে, ভারতবাসীর কপাট।
হয় লুণ্ঠিত নানা রাজবাড়ি, খ্যাতনামা সব দেউল।  
লুঠ কর্ম 'জাত পেশাদারী',যেন অহী ধ্বংসী নেউল।
ঐ দেশ দলপতিরা লুণ্ঠন করে ভারত মাঝে এসে।
(পরে)ঐ দস্যু রাজ মানুষ গুলো, সব ন্যায় পরায়ন বেশে।
কতনা মানুষের নিয়ে গেছে প্রাণ লুটিতে এসে রত্ন।
নিজ দেশে বীর বিক্রম, সেই দস্যু রাজের কত যত্ন।
কয়েক শতাব্দী ধরে তস্কররা করেছে কত তাণ্ডব।
ভেঙ্গেছে প্রাসাদ, ভেঙ্গেছে দেউল, ধ্বংস করেছে সব।, 
লুটিতে লুটিতে লুটেরা পার্টি, অনেকে রয় অধি আশে।
 মেরে ধরে হয় ভারতবাসী, সেনা শক্তির উল্লাসে।
ঐ দস্যু তারাও আজ ভারতবাসী,কেউ ভাঙ্গিছে ঘাড়।
কেউ রয়েছে পরগাছা রূপে শিখেনি শিষ্টাচার।
মুষ্টিমেয়  হয়েছে  সুজন, এই ভারত অন্তরে এসে।
তাঁদের সুচারু চলনে,পরগাছারা অট্টহাস্য  হাসে।
তুমি যেখানে থাক, যেথায় থাক, হওগো বিবেকবান।
এই ভারতই তোমার মাতা,তোমার মঙ্গল অঙ্গন। 
ভারতীয় হও মনে প্রাণে,আচারে বিচারে সর্বস্থানে।
তব শিরে লাগুক পালক,সবাই দেখুক সুনয়নে।
তব পড়শী পর করিয়া কেন গাহিছ পরের গান?
যারা ভারত মাতৃ বক্ষে হানিছে বার বার বিষ বাণ। 
এ মাঠের শষ্য, মুক্ত পবন,,করেছ মাতৃ সুধা পান।
তবুও তুমি তোমার মাতৃগৃহের করিছ অসম্মান।
পরগাছা রয় যে গাছের ডালে, সে গাছ-ই তার প্রাণ।
সেই গাছ কাটিতে উদ্যত তুমি ওরে দূর্বোধ  সন্তান।
অস্তিত্ব তোমার সেই বৃক্ষ প্রাণে যাহাতে জড়িয়ে তুমি। 
তাহার অঙ্গে করিছ আঘাত,হবে জীবন  মরুভূমি।

ইতিহাসের পাতায় নরেন্দ্র মোদী>>> মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

মহামহিম মোদী নিঃসন্দেহে ইতিহাসে নাম তুলে ফেলেছেন। আজ থেকে পাঁচশো বছর পরে, স্কুল-বইয়ে নিশ্চয়ই লেখা হবে, ভারতবর্ষে এমন একজন মহাসম্রাট এসেছিলেন, যিনি কাশ্মীরে টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে কাশ্মীরিদের উদ্দেশে টিভিতে ভাষণ দিতেন। যিনি উত্তর-পূর্ব ভারতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতবাসীকে টুইট করতেন। যিনি বাংলায় দশ কোটি লোককে রাষ্ট্রহীন করার কল বানিয়ে, তারপর তাদেরই রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি  নষ্ট না করার উপদেশ দিতেন।

তিনিই ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি পাকিস্তানকে মেরে ফেলব বলে হুঙ্কার দিয়ে নিজের দেশেই সৈন্য নামিয়েছিলেন। যুদ্ধ করছি, বলে পাকিস্তানে একটি কাক এবং  অনেক পাইনগাছ মেরেছিলেন। তিনিই ভারতের একমাত্র দেশনেতা, যিনি পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ দুইয়ের কাছ থেকেই জুতোর বাড়ি খেয়ে তারপরেও নতুন সুট পরে জগৎ-সভায়-শ্রেষ্ঠ-আসন-লভেছি ধরণের হাসি হাসি পোজে ছবি দিতেন। এবং তিনিই একবিংশ শতকে পৃথিবীর একমাত্র সম্রাট যিনি, স্রেফ খেয়াল হয়েছিল বলে, এক রাতে নিজেরই সমস্ত নোট বাতিল করে দিয়ে আপামর দেশবাসীকে পাক্কা বছর খানেক ধরে দৌড় করিয়ে প্রচুর ফুর্তি পেয়েছিলেন।

তিনি দেশবাসীকে মিত্র বলতেন, আম্বানিকে স্যার। তিনি ব্যাঙ্কের টাকা দিতেন চোরদের, আর আমানতকারীরা যাতে নিজের টাকা সহজে না তুলতে পারে, তার সুবন্দোবস্তো করতেন। ইতিহাস বলতে তিনি রমায়ণ বুঝতেন। বিজ্ঞান বলতে রামদেব। আর অর্থনীতি জিনিসটিকে স্রেফ তুলে দিয়েছিলেন। গরীবি হটানোর জন্য তাঁর অব্যর্থ দাওয়াই ছিল দুই খানা। ১। গরীবির সংখ্যা চেপে দাও। খবর না থাকলে আর কীসের গরীবি। চোখ বুজে থাকলেই প্রলয় বন্ধ থাকবে। এইভাবে তিনি বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে ভুল প্রমাণ করেন ( যিনি বলেছিলেন, গণতন্ত্রে খবর্সহজে  চেপে দেওয়া যায়না)। ২। লোককে অ-নাগরিক বানিয়ে দাও। যারা নাগরিকই নয়, তাদের আবার কীসের সমস্যা। মাথাই না থাকলে কীসের মাথাব্যথা। লোকগুলো তখন ল্যাল্যা করে ঘুরবে, নাগরিকত্ব পেলেই মোক্ষলাভ করবে, তাদের অন্য কিছুর দাবীদাওয়া থাকবেনা। এই অনুপম পদ্ধতি তিনি প্রয়োগ করেন প্রথমে আসামে, তারপর বাংলায়। সেখানে একদল বলতে থাকে অহা মোল্লাদের নাগরিকত্ব থাকবেনা, কী আনন্দ। আরেকদল বলতে থাকে বাঙালিদের নাগরিকত্ব দেওয়া চলবেনা। এই নিয়ে প্রচুর কাটাকাটি চলতে থাকে, এবং ফাঁকতালে তিনি সবকটাকেই লাথিয়ে তাড়িয়ে দেন। দেশে ভোটারই না থাকায় তাঁর পুনর্নিবাচিত হতে কোনো অসুবিধেই হয়নি। এই ফাঁকে আস্ত পূর্ব ভারতকেই বানিয়ে ফেলেন ডিটেনশন ক্যাম্প । গুজরাতি বানিয়ারা সেখানে চিরস্থায়ী রাজত্ব করতে থাকে। আর হিন্দু এবং মুসলমান বাঙালি প্রজারা সেখানে নিজের-নিজের হাত কামড়াতে কামড়াতে জীবন কাটাতে থাকে।

তবে এখানেই শেষ নয়। পাঁচশো বছর পরে, নিঃসন্দেহে বাংলা ভাষায় একটা নতুন শব্দ যোগ হবে। মদীয়। যা 'তুঘলকী'র প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। লোকে পড়ে হ্যাহ্যা করে হাসবে। এবং স্কুলের পাঠ্য বইয়ের শেষ লাইনে, মোক্ষম ভাবেই লেখা থাকবেঃ তারপর একদিন প্রজারা তাঁর হাত থেকে এবং তিনি প্রজাদের হাত থেকে বাঁচলেন।

এই অবধি পড়ে, কোনো কচি খোকা বা খুকি অবশ্য প্রশ্ন করতে পারে, উনি পাগল ছিলেন বোঝা যায়, কিন্তু আস্ত ১৩০ কোটিই কি পাগল ছিল? জবাবে মাস্টারনি উত্তরহীন থাকবেন কিনা সেটা এখনও বলা যাচ্ছেনা।

Friday, December 13, 2019

কবিতা : মানবতার সেবক >>> মিনহাজউদ্দিন মন্ডল



পড়ে ক্লাস এইটে 
               গাঁয়ের বিদ্যালয় ,
টিফিনের টাকা ওরা
             প্রতিদিন জমায় ।

চল্লিশ জনে মিলে 
             বাঁধিয়াছে জোট ,
দশ টাকা দান করে  
            খুশিতে লাল ঠোট ।

চল্লিশ দিনের মাথায়  
               হিসাব নিকাশ করে ,
ষোলো হাজার টাকা হলো
              হাসির ঝলক মারে ।

বছরে নবম বারে 
                 হিসাব করে দেখে ,
এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার 
                 দশ টাকা রেখে ।

বছরে আরো বাকি 
                পাঁচ দিন থাকে ,
মিলন মেলা করতে তারা 
                 পাঁচ দিন রাখে ।

করিম চাচার পরিবারটা 
                     বড় অসহায় ,
বিদ্যালয় অনুষ্ঠান করে 
               অটো কিনে দেয় ।

অন্যসব শ্রেণী গুলি
               অনুকরণ করে ,
ছাত্রছাত্রী সবাই মিলে 
                গাঁয়ের সেবা করে ।

কখনও রোগির সেবা 
                 কারও বাসস্থান ,
সেবা দিয়ে চলছে ওরা  
                 বুঝে অবস্থান ।

খবর ছড়িয়ে পড়ে 
                থানা-জেলা জুড়ে ,
অধিকাংশ বিদ্যালয় 
                 সেই পথ ধরে ।

দেখাদেখি গড়ে ওঠে
                আরও সংগঠন ,
গাঁয়ের যুবক গণে
            সেবায় দিলো মন ।

কৃষক শ্রমিকেরা
               দেখে সেই ফল,
ওরাও চল্লিশ মিলে
              বাঁধিয়াছে দল ।

পাঁচজন নেতা ওরা 
                দলে আট জন ,
পাঁচ আটা চল্লিশে 
                করে সংগঠন ।

জিজ্ঞাসিলে ওদের কাছে 
                   চল্লিশের কারন ,
চল্লিশে সফল সৃষ্টি 
                 জ্ঞানীদের বচন ।

মানবতার সেবক ওরা 
                 ওরাই গড়বে দেশ ,
নেতা হওয়া নয় জরুরী 
               সেবা করাই বেশ

Tuesday, December 10, 2019

ডিপ্রেশন কি শুধু প্রেমিক/প্রেমিকা ছেড়ে গেলেই হয়? নাকি আরও কারণ আছে ডিপ্রেশনের পিছনে?

         --- মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

বিচ্ছেদ ছাড়াও অনেক অনেক কারণেই মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বাবা মায়ের ঝগড়া, পারিবারিক ঝামেলা, খারাপ রেজাল্ট করা, বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়া, পছন্দের সাবজেক্টে চান্স না পাওয়া, পছন্দের সাবজেক্টে চান্স পেয়েও ভর্তি হওয়ার জন্য পরিবারের সাপোর্ট না পাওয়া, বন্ধু বান্ধব থেকে তিরস্কার হওয়া, গায়ের রং কিংবা ওজনের জন্য সব সময় হাসির পাত্র হওয়া এরকম যেকোনো কারণেই মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে।

কিংবা এমন অনেক কারণেই মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগে যেটা আপনার আমার কাছে কোনো কারণ ই মনে হবে না। আপনি শুনে হাসবেন। তাকে পঁচাবেন। 'ধূর ব্যাটা' বলে তার কষ্টের কথা হেসে উড়িয়ে দিবেন।

আমার সাথে কথা হয়েছে এমন দুই-একজনের কথা বলি। রুপালি ( ছদ্মনাম)। ছোটবেলায় পাশের বাসার এক আন্টি তাকে দেখলেই বলতো, কিরে Hoe কেমন আছিস? এই Hoe কি করিস? সে ছোট মানুষ। Hoe মানে বুঝতো না। প্রতিনিয়ত আন্টি তাকে hoe ডাকতো। একটু বড় হবার পর সে জানলো Hoe মানে বেশ্যা! তাহলে কি দাঁড়ায়? তার আন্টি তাকে ডাকতো, "কিরে বেশ্যা, কেমন আছিস? কি খবর তোর?" চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন আপনাকে কেউ এভাবে ডাকছে। আপনি তাকে কি করতেন?

সে এটা নিয়ে ভাবতে থাকে। মন খারাপ করে পড়ে থাকে। বন্ধু বান্ধবদের সাথে মিশা বন্ধ করে দেয়। নিজেকে খারাপ মনে হতে থাকে। ইনফিরিয়র কমপ্লেক্সিটি তে ভুগতে থাকে। এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা নেয় এর প্রতিশোধ সে নিবেই। সে নিয়েছেও। কাহিনী আগেও বলেছিলাম।

মেয়েটা এখন বর্ডারলাইন পারসোনালিটি  ডিসঅর্ডার এর রোগী। দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসা নিচ্ছে। তিন দিন আগেও asylum (আশ্রয়কেন্দ্র/ মানসিক রোগীদের যেখানে চিকিৎসা করা হয়) থেকে এসেছে। সেখানে তার একটা ছেলের সাথে পরিচয় হয়। তার ব্যাপারে বলি।

সুজন। পড়াশোনায় ভালো ছিলো। নবম শ্রেণিতে থাকতে কোনো একটা পরীক্ষায় সে ফেইল করে। এতো ভালো ছাত্র থেকে বাবা মা এমন রেজাল্ট আশা করে নি। বাবা রাগ করে ছেলের শখের চুল কেটে দেয়( বলাবাহুল্য তার চুল,চুলের স্টাইল অনেক সুন্দর ছিলো)।  শখের চুল হারিয়ে সে খুব কষ্ট পায়। বাবা মেয়ের প্রতি রাগ হয়। আপনাকে ন্যাড়া করে দিলে আপনি স্কুলে যাবেন? খেলতে যাবেন? পড়তে যাবেন? এক প্রকার জিদ কাজ করবে না বাবা মায়ের উপর? তাও আবার পছন্দের জিনিস হারালে কষ্টটা দ্বিগুণ তিনগুণ হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। সেই থেকে ছেলেটা অন্ধকার রুম, একা থাকা শুরু করেছে, কারো সাথে কথা বলে না, পড়াশোনায় মনোযোগ নেই। বাবা মা হয়তো এতে আরও ক্ষেপে যায়। নিশ্চয়ই মানসিক শারীরিক অত্যাচার করে। ডিপ্রেশনে ভুগতে ভুগতে আজ সে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। জানেন তো কত ভয়াবহ এই রোগ! এরা গায়েবি আওয়াজ শোনে। তারা নিজেরাই ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্নহত্যা করতে পারে কিংবা অন্যকেও খুন করতে পারে। সে এখন আশ্রয়কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

.
মেয়েটার শখ আঁকাআঁকি করা। পড়াশোনার জন্য পারিবারিক সাপোর্ট পায় নি। নিজে টিউশন করিয়ে নিজের খরচ চালিয়েছে। এইচএসসি তে রেজাল্ট খারাপ করায় পরিবার তাকে দেখতে পারে না। বাবা ছোট ভাইকে বলে দেন বড় হয়ে যাতে এই বোনের মতো না হয়! ও নাকি একটা অকর্মার ঢেঁকি! সারাদিন কটু কথা শুনতে শুনতে মেয়েটা বাঁচার আগ্রহ'ই হারিয়ে ফেলে। নিজেকে শূন্য, মূল্যহীন মনে হয়। নিজের গায়ে আঘাত করে, ঘুমের ওষুধ খায়, আত্নহত্যা করার চেষ্টা করে। অনেক পরিশ্রম করার পর একটা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে শখের সাবজেক্ট আর্ট নিয়ে পড়ার সুযোগ পায়। সে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছিল সবার কথার জবাব দিতে। কিন্তু ফ্যামিলি বলে, এ সাবজেক্টের ভবিষ্যৎ নেই,ক্যারিয়ার ভালো না, আরও কত কি। তাকে ভর্তি হতে দিলোই না!!!

এখন আপনারাই বলেন এইযে তিনজন মানুষের কথা শুনলেন এদের এই অবস্থার জন্য কারা দায়ী? ওরা নিজেরা নাকি ফ্যামিলি মেম্বার, আশেপাশের মানুষজন?

আমাদের বাবা-মা আমাদের ভালো চান এটা আমরা সবাই মানি। আমাদের ভাই-বোন চায় তারা যেন যেকোনো জায়গায় গর্বের সাথে আমাদের পরিচয় দিতে পারে। আর এটার জন্য তারা আমাদেরকে শারীরিক মানসিকতার এতো এতো প্রেসার দিতে থাকে যে আমরা অনেক সময় সহ্য করতে পারিনা। আসলে ডিপ্রেশন কি, ছেলে মেয়েদের সাথে কীভাবে বিহেভ করতে হবে, কাউন্সিলিং করতে হবে এটা আগে আমাদের বাবা মা, ভাই বোনদের শিখানো উচিত। উনাদের ব্যার্থতার ভারও অনেক সময় আমাদের কাঁধে চাপিয়ে দেন। টিনএজ ছেলে মেয়েরা ভয়ে,আতঙ্কে নিজেদের সমস্যার কথা পরিবারের সাথে শেয়ার করতে পারে না। কারণ সে জানে পরিবারের চাই 'ডিগ্রী, চান্স, ভালো রেজাল্ট! ' সে মরে যাক কারো আপত্তি নেই কিন্তু ডিগ্রী চাই'ই চাই। এইযে দেশে এতো এতো আত্নহত্যা বাড়ছে এদের পিছনে কি পরিবারের ভূমিকা নেই? দোষ নেই?
অবশ্যই আছে। পরিবার হয়তো বুঝে না নয়তো স্বীকার করবে না।

অনেকেই ডিপ্রেশনে আছে। যে যেই কারণেই ডিপ্রেশনে থাকুক না কেন তার কাছে তার কারণ টাই মূখ্য। আমাদের উচিত তাদের সময় দেওয়া, তাদের কথা শোনা, সাহস দেওয়া, সাপোর্ট দেওয়া।

অথচ আমরা কি করি? কেউ সারাদিন একটিভ থাকলে, স্ট্যাটাস দিলে আমরা বলি সে আকাইম্মা, এটেনশন সিকার! কেউ কষ্ট শেয়ার করলে আমরা হাহা দিয়ে উড়িয়ে দেই। ব্যাপার টা পাত্তাই দেই না। একবারও ভাবি না সে কষ্ট পাচ্ছে কিনা, তার মনের অবস্থা কেমন!

যে বা যারাই ডিপ্রেশনে আছেন তারা একা রুমে বসে না থেকে ঘর থেকে বের হোন। মানুষের সাথে মিশুন। এমন একজনকে খুঁজে বের করুন যিনি আপনাকে বুঝবে। পাশে না দাঁড়ালেও এটলিস্ট আপনার কথা হেসে উড়িয়ে দিবেন না। যা করতে ইচ্ছে হয় করুন। যেটা করলে মন ভালো হয় করুন। মিম শেয়ার করে, স্ট্যাটাস দিয়ে ভালো থাকলে তাই করুন।
Don't give any importance to those who talk behind you. just kick off negative people from your life, from your friend list. Your life will become more easier.

কবিতা : বৃদ্ধাশ্রম >>> মিনহাজউদ্দিন মন্ডল


বৃদ্ধ বলে যাকে তুমি
করে যাচ্ছ অবহেলা,
একদিন তুমিও বৃদ্ধ হবে
বুঝবে তাদের জ্বালা।

বৃদ্ধ সে তো কারো পিতা
কারো বা বড় ভাই।
তবুও কেন আজকে তাদের
মিলছে না কোথাও ঠাঁই?

বৃদ্ধাশ্রমে তাদের কেন
রাখতে হয় বলো,
তাকেই কীভাবে ভুলো
যে তোমাকে জন্ম দিলো?

যে তোমাকে করেছে মানুষ
দিয়েছে জীবন গড়ে,
তাকেই তুমি পর করলে
যাতনায় দিলে ভরে।

কে করে তোমায় বেশি দোয়া
ভেবে দেখেছো কভু?
তবু ও কেন তাঁর জীবন
আজ জ্বলছে নিভু নিভু?

আজকে তুমি তাকে ছেড়ে
কীভাবে করছ বাস?
কীভাবে তুমি অন্ন গিলছো
করে তার সর্বনাশ।

তোমার ও তো বাড়ছে বয়স
সে খেয়াল আছে কি?
বৃদ্ধ হতে কদিন বাকি,
আর দিও না কর্তব্যে ফাঁকি।

মা-বাবাকে ভালোবেসে
দাও সন্তানকে শিক্ষা।
সে তোমায় বাসবে ভালো
লাগবে না কোন দীক্ষা।

তাই বাবামাকে দাও তাদের প্রাপ্য
করে যাও বৃদ্ধদের যতন,
বিধাতাই খুলে দিবে তোমার ভাগ্য
তবেই পাবে তুমি সুন্দর জীবন।

কবিতা : শিক্ষামন্ত্র >>> মিনহাজউদ্দিন মন্ডল


জন্মদানে মাতা-পিতা
মানুষ করেন শিক্ষাগুরু,
অ আ ক খ হাতেখড়ি
শিক্ষকেরই হাতে শুরু।

গুরুর মনে আঘাত দিলে
ভাগ্যচাকা কষ্ট আঁকে,
অভিশপ্ত জীবন ঘরে
দুখ-আঁধারে জনম ঢাকে।

শিক্ষাগুরুর ভালোবাসা
রাখবে পেতে ভক্তি অগাধ,
সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন পাবে
পুণ্যশীতল আলো অবাধ।

মাতাপিতার আদর-শাসন
শিক্ষাগুরুর হৃদাসনে,
অশেষ যত্নে শিক্ষা দিতে
সফলচেষ্টা গভীর মনে।

শিক্ষার্থী তার শিক্ষাগুরুর
মানলে বাক্য মন্ত্রসম,
কুসুমকান্তি জীবনখানি
দূরে যাবে সন্ধ্যা-তম!

মানবিক চাপ : বেকারত্ব >>> মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

মাস্টার্স পাশ করা ২৬, ২৭ বছর বয়সী একজন যুবক-যুবতীকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরিতে যোগদান করতে হয়। আর পড়ালেখা না জানা ১০, ১২ বছর বয়সী একজন বাস হেল্পার এর দৈনিক হাজিরা প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, যা মাস শেষে ১৪, ১৫ হাজার টাকা হয়।

কেউ কোন ফ্যাক্টরীতে ২০ বছর কাজ করলে তার বেতন হয় লক্ষ টাকা, আর ২০ বছর পড়ালেখা করে যখন চাকরির জন্য যায়, তখন তার বেতন হয় ১০ হাজার টাকা। তাহলে আমরা কোথায় যাবো? স্কুলে না ফ্যাক্টরীতে?

হাজার হাজার - লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পড়ালেখা করে আজ শিক্ষিত মানুষগুলো পরিবারের, সমাজের এবং সবার কাছে অবহেলিত। রাষ্ট্র পড়ালেখা করার জন্য টাকা নিতে পারে। কিন্তু পড়ালেখা শেষ করার পর টাকা ফিরিয়ে দিতে পারেনা!

অনেকেই বলবে ভাল করে পড়ালেখা করলে, ভাল রেজাল্ট করলে ভাল চাকুরী পাওয়া যায়। আসলেই কি পাওয়া যায়? নাকি মোটা অংকের Donation দিতে হয়?

ভাল রেজাল্ট না করলে পাশ দেওয়া হয় কেন? রাষ্ট্র যদি শিক্ষিত মানুষের চাকুরী দিতে না পারে তাহলে রাষ্ট্রের উচিত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়া। তাহলে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য বাবা মায়ের এতো কষ্ট করতে হতো না। টাকা গুলো সঞ্চয় হতো।

চাকরির অভাবে পরিপক্ক হওয়া ছেলেটা ২৮ বছরেও বিয়ে করতে পারে না।অন্যদিকে বয়স বাড়তে থাকা অবিবাহিত মেয়েটাও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না। না পারছে তারা উপযুক্ত ছেলেকে বিয়ে করতে, না পারছে পাড়া-পড়শির খোটা সহ্য করতে। শুধু এক বুক নিঃশ্বাস ফেলে আফসোস করছে- এ দেশে জন্ম নেয়ার জন্য।

আমাদের অবস্থা আজ এমন দাঁড়িয়েছে যে, যেন গাধার দিকে তাকালে দেখতে পাই নিজের প্রতিচ্ছবি।

কবিতা : মুখোশ

                  কবি- মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

আমাদের রাষ্ট্রের
        এই হোক মূলনীতি
থাকবেনা আর এ দেশে
         কোনো ঘুস-দূর্নীতি।।

এই মূহুর্তে হোক
      সকলেই সোচ্চার
অপরাধী-অপকর্মকারী
       হয়না যেন পার।।

দূর্নীতির মূলোৎপাটন
       করতেই হবে এবার
 না হলে এ দেশটা হবে
         দূর্নীতির ভাগার।।

অবৈধ সম্পদের পাহাড়
           যারাই করেছে
মাথানত নিশ্চিত হোক
           আইনের কাছে।।

অপকর্মের মূল হোতারা
        সকলে হোক চিহ্নিত
তাদের মুখোশ খুলে দিতে
         হতে হবে ঐক্যবদ্ধ।।

Monday, December 9, 2019

ইসলামিক কবিতা : ইমাম মাহদী (আঃফাঃ)

                      কবি- মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

সবাই চলছে তো কেউ জানেনা কোথায়?
ছুটছে তো ছুটছে অচেনা-অজানায়।

দজ্জাল সগর্বে হাক মেরে আসছে।
তাকে ঠেকানোর কেউ কি সাজছে।

আড়াল থেকে কার যেন ছায়ারূপ দেখা যাচ্ছে।
সে যেন তেজদীপ্ত হুংকার দিয়ে নাচছে।

সর্বত্র সত্য-ন্যায়ের ব্যবধান বাড়ছে।
মানবতার শির হীম সাগরে মরছে।

ওরা নাকি সভ্যতার সমাজ গড়ছে।
তাদের কাজে দজ্জাল পর্যন্ত লজ্জা পাচ্ছে।

সবাই তো চলছে কোথায় যাবে সর্বত্র দৃষ্টিভ্রম হচ্ছে।
কানা দজ্জাল নাকি সিরিয়াতে আত্মপ্রকাশ করবে।

বেইমানের হবে রব দজ্জালের সৌরভ।
ঈমান বাঁচাতে হলে সূরা কাহাফ পড়।

পাহাড় সম ক্ষমতা নিয়ে দাজ্জালের আগমন হবে।
ইমাম মেহেদির আগমনে দাজ্জালের পতন হবে।

মৃত্যুপুরীর মৃত্যুবাণ শিখা জলবে অনির্বাণ।
যারা আছে ঈমানদার মানবে না ঐ ক্ষমতাবান।

ঘাড়ে বসে ওই ফাইজলামি মানবে না আর মুসলিম জাতি।
আসসালাতু ওয়া আসসালাম হে  ইমাম মেহেদী।

কবিতা : স্বপ্নের দেশে

                কবি- মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

আমি হবো ভোরের পাখি
মিষ্টি গানের সুরে,
কুহুকুহু ডালে ডেকে
যাবো অনেক দূরে।

দূরে গিয়ে ছন্দ তুলে
বলি ছড়ার পালা,
পথ হারিয়ে বনে বনে
নিয়ে বকুল মালা!

চন্দ্র দেশে যাবো আমি
কে যাবি ভাই সাথে,
সন্ধ্যা হলে চলে এসো
আমার বাড়ির পথে।

সূর্য মামা হাঁক পারিলে
আসবো চলে বেগে,
শীতের মাঝে মামা তখন
ওঠবে রেগে-মেগে!

গল্প হলো অনেক সময়
গল্প রাজার দেশে,
ঘুমের দেশে ছিলাম বুঝি
ঘুমের রাজা বেশে!

কবিতা : ভেজাল

                         কবি- মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

 ভেজালে ভেজালে দেখ
 ভরে গেছে দেশটা,
 যত চলে অভিযান
 রয়ে যায় রেশটা ।

 চাল-ডাল-তেলে ভেজাল
 নুন-চিনি-মুড়িতে,
 ঔষধ-পথ্যে ভেজাল
 সিঙ্গারা – পুড়িতে।

 ফল-মূল সবই ভেজাল
 দুধ-শিশু খাদ্যে,
 দেখ কিযে কান্ড-
 ভেজাল গান-বাদ্দ্যে!

 ছানা-দই-মিস্টি আর
 ভেজাল রুপা-সোনাতে,
 নতুন এক ভেজাল এলো
 চন্দ্রের দিন ক্ষণ গোনাতে।

 নেতা-নেত্রী সবই ভেজাল
 ভেজাল সব মতাদর্শ,
 দল কানা সব কর্মী সমর্থক
 জানেনা দলের কি আদর্শ !

 তন্ত্রে মন্ত্রে ভেজাল
 এমনকি শিক্ষক – ছাত্রে,
 বিয়েতে পাত্রী ভেজাল
 ভেজাল আছে পাত্রে।

 ভেজাল আছে কান্নায়
 আর হাসাহাসিতে,
 ভেজাল আছে আজকাল
 ভালোবাসাবাসিতে ।

 আজকের সংসার
 ভেজালেতে ভরপুর,
 দেহ একই বিছানায়
 মন রয় বহুদূর ।

 জনে আর মনে ভেজাল
 ভেজাল ভালোবাসাতে,
 এভাবেই বেঁচেথাকা
 এতটুকু আশাতে ! 
           ---------
 প্রকাশকাল: ২২/০৫/২০১৯

কবিতা : স্কুলের বন্ধু

                    কবি- মিনহাজউদ্দিন মন্ডল

     অনেক দিনের পরে তোদের
         করছি খুবই মিস্,
      ফোন নম্বর থাকলে জানা
            একটু খবর নিস্।

     স্কুল থেকে কলেজ জীবন
          বন্ধু পেলাম যতো,
      তোদের মতো পাইনি আজও
           বন্ধু মনের মতো।

        স্কুলেরই গন্ডীটাকে
           পার করেছি যবে,
        ভাবিনি সেদিন সবাই এখন
            পর যে হয়ে যাবে।

       একসাথেতে ছিলাম সবাই
          পাঁচটি বছর ধরে,
        আজ বুঝেছি যেদিনটা যায়
            আর আসেনা ফিরে।

         একের পর এক ধাপ পেরিয়ে
             দশটি বছর পরে,
         এখন বুঝি বন্ধু তোরা
              ছিলি হৃদয় জুড়ে।

         শত চেষ্টা করেও আজি
            পাইনে তোদের খোঁজ,
         একটুখানি খোঁজ পেতে তাই
             নেট-টা চালাই রোজ।

          হারিয়ে তোদের আজ বুঝেছি
               ছিলি কতো দামী,
         বন্ধু হয়েই থাকব তোদের
              কথা দিলাম আমি।

Thursday, November 7, 2019

ভদ্রতার নিদর্ষণ: সকলকেই মেনে চলা উচিত

Edited By -- Minhajuddin Mondal

১. একটানা দু'বারের বেশি কাউকে কল করবেন না। যদি তারা আপনার কলটি গ্রহণ না করে,, তার অর্থ হল,, তারা হয়তো আপনার ফোনটির থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে ব্যাস্ত আছে।

২. কারো থেকে কিছু ধার করে থাকলে,, দ্বিতীয় ব্যক্তি চাওয়ার আগে তার ধার শোধ করুন। এতে আপনার কর্তব্যপরায়ণতা ও চরিত্র প্রকাশ পায়।

৩. কেউ যখন আপনাকে মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারের জন্য আমন্ত্রন করে তখন,,কখনই মেনুতে ব্যয়বহুল খাবারটি অর্ডার করবেন না। সম্ভব হলে তাদের পছন্দমতো খাবারের অর্ডার করতে বলুন।

৪. কারো কথার মাঝখানে কথা বলে বাঁধা সৃষ্টি করবেন না। আগে মনযোগ দিয়ে শুনুন,, তারপর সময় নিয়ে উত্তর দিন।

৫. কেউ আপনাকে সহায়তা করলে তাকে ধন্যবাদ বলুন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

৬. যখন কেউ আপনাকে তাদের ফোনে একটি ছবি দেখাতে চাইবে, তখন ফোনের বাম বা ডানদিকে সোয়াইপ করবেন না। কারন আপনি জানেন না এর পরে কি আছে। ...

৭. যদি আপনার কোনো বন্ধু আপনাকে বলে যে তার ডাক্তারের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে, তবে তাদের কখনোই আ্যপয়েন্টমেন্ট এর কারন বা রোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না, শুধু বলতে পারেন,, আশা করি দ্রুত সুস্থ হও। যদি তারা এ বিষয়ে কথা বলতে চান, তবে তারা আপনাকে নিজে থেকেই বলবে। তাদের ব্যক্তিগত অসুস্থতা সম্পর্কে জানতে চেয়ে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করবেন না ..

৮. অফিস কিংবা রাস্তায় একজন ক্লিনার কে ঠিক ততোটাই সম্মান দিয়েই কথা বলুন,, যতোটা আপনি আপনার অফিসের CEO কে দেন।

৯. দীর্ঘ সময় পরে কারও সাথে দেখা হলে,, তাদের বয়স এবং বেতন জিজ্ঞাসা করবেন না,, অবশ্যই যদি তারা এ ব্যাপারে কথা বলতে না চায়।

১০. রাস্তায় কারও সাথে কথা বলার সময় সানগ্লাসটি চোখ থেকে খুলে নিন। এটি শ্রদ্ধার নিদর্শন,, তাছাড়া চোখের যোগাযোগ বা আই কন্টাক আপনার বক্তব্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ...

ধন্যবাদ।

Friday, October 25, 2019

NOTICE FOR 'ITS' EXAM-2020

*আইটিএস নিয়ে যে সমস্ত সিদ্ধান্তগুলো হল:*
১) রাজ্য টপারদের নিয়ে কোনরকম অনুষ্ঠান করা হচ্ছে না প্রত্যেক জেলায় একটা করে অনুষ্ঠান হবে সেখানে রাজ্য টপারদের ডেকে নিতে হবে।
২) *৩০শে নভেম্বরের* মধ্যে জেলাগুলো থেকে টপারদের নামের তালিকা আসতে হবে রাজ্যকোর কমিটির হাতে।
৩) 2019 এর সার্টিফিকেট তৈরির দায়িত্ব মাহবুবুল ভাইকে দেয়া হয়েছে।
৪) জেলা আইটিএস থেকে রাজ্যে প্রত্যেক পরীক্ষার্থী পিছু *দুই টাকা (₹-২/-)* করে জমা দিতে হবে রাজ্য আইটাকে।
৫) State-level টপারদের কি পুরস্কার দেয়া হবে সেটা *রাজ‍্য কোরকোমিটি* বসে ঠিক করে দেবে।
৬) *আগামী ফেব্রুয়ারি* মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পুরস্কার দেয়া শেষ করতে হবে (সকল স্তরের টপারদের)।

*2020 আইটিএস নিয়ে যে সমস্ত সিদ্ধান্তগুলি হয়েছে:*
১) ২০২০ আইটিএস-এ কোন গাইড বুক করা হচ্ছেনা।
২) লিফলেটে প্রশ্নপত্রের মডেল থাকবে।
৩) উত্তরপত্রে 'ক' 'খ' 'গ' 'ঘ'এর পরিবর্তে 'a' 'b' 'c' 'd' করতে হবে।
৪) OMR Sheet করা যাবে কিনা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে ভাবা হচ্ছে কিভাবে সহজে ওএমআর শিট করা যায়।
৫) Question seter দের মাথায় রাখতে হবে প্রশ্নপত্রে যেন কোনো বিতর্ক মূলক প্রশ্ন না থাকে।
৬) 2020 পরীক্ষাটা সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে নিলে ভালো হয়।
৭) প্রশ্নপত্র সরকারি, বেসরকারি, মাদ্রাসা সমস্ত শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে করতে হবে।
৮) কোশ্চেনের রিপিটেশন, প্রিন্টিং মিসটেক এবং ভুল যথাসম্ভব এড়ানোর চেষ্টা করতে হবে, সর্বোপরি প্রশ্নের মান উন্নত করতে হবে।
৯) 2020 সালের পরীক্ষার জন্য যে সমস্ত জেলাকে প্রশ্ন ভাগ করে দেয়া হয়েছে---
এক) মালদা *অষ্টম শ্রেণী এবং নবম শ্রেণী* দুই) মুর্শিদাবাদ *ষষ্ঠ শ্রেণি এবং সপ্তম শ্রেণি* তিন) উত্তর 24 পরগনা *চতুর্থ শ্রেণী এবং পঞ্চম শ্রেণী*
চার) হাওড়া *তৃতীয় শ্রেণি*
১০) আগামী এপ্রিলের *প্রথম সপ্তাহের* মধ্যে রাজ্য কোরকমিটির কাছে প্রশ্নপত্র জমা দিতে হবে।

Friday, October 18, 2019

কালোজিরার উপকারিতা

#কালোজিরার এই অসাধারণ ৩৭ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে আপনার ?

সাধারণত কালোজিরা নামে পরিচিত হলেও কালোজিরার আরো কিছু নাম আছে, যেমন- কালো কেওড়া, রোমান করিয়েন্ডার বা রোমান ধনে, নিজেলা, ফিনেল ফ্লাওয়ার, হাব্বাটুসউডা ও কালঞ্জি ইত্যাদি। কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম nigella sativa। যে নামেই ডাকা হোকনা কেন এই কালো বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কালোজিরা। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই না কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্যও অনেক উপকারি। প্রত্যেকের রান্নাঘরেই কালোজিরা থাকে যা খাবারকে সুবাসিত করে। আসুন আমরা আজ আশ্চর্য বীজ কালোজিরার উপকারিতা গুলো জেনে নেই।

০১। স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি :

এক চা-চামচ পুদিনাপাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রঙ চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত সেব্য। যা দুশ্চিন্ত দূর করে। এছাড়া কালোজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। কালোজিরা খেলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির হয়। যা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

০২। মাথা ব্যাথা নিরাময়ে :

১/২ চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩সপ্তাহ সেব্য।

০৩। সর্দি সারাতে :

এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩বার সেব্য এবং মাথায় ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়। সর্দি বসে গেলে কালিজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন। একই সঙ্গে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন, শ্লেষ্মা তরল হয়ে ঝরে পড়বে। আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন।

০৪। বাতের ব্যাথা দূরীকরণে:

আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য।

০৫। বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে :

আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশকরে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে২/৩ সপ্তাহ সেব্য।

০৬।হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে :

এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ এক কাপ দুধ খেয়ে দৈনিক ২বার করে ৪/৫ সপ্তাহ সেব্য এবং শুধু কালোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।

০৭।ব্লাড প্রেসারনিয়ন্ত্রনে রাখতে :

প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যেরতাপে কমপক্ষে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণমধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন সেব্য যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়া কালোজিরা বা কালোজিরা তেল বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।

০৮। অর্শ রোগ নিরাময়ে :

এক চা-চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তেল চুরন/তিলের তেল, এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ প্রতিদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ সেব্য।

০৯। শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি রোগ সারাতে:

যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমসসায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায়। কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা উপশম হবে।এছাড়া এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল, এক কাপ দুধ বা রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেব্য।

১০। ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণে:

ডায়াবেটিকদের রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালিজিরা। এক চিমটি পরিমাণ কালিজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া এক কাপ চা-চামচকালোজিরার তেল, এক কাপ রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২বার করে নিয়মিত সেব্য। যা ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রণে একশত ভাগ ফলপ্রসূ।

১১। জৈব শক্তি বৃদ্ধির জন্য :
কালোজিরা নারী- পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন কালোজিরা খাবারে সাথে খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত আছে যে, কালিজিরা যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। একচা-চামচ মাখন, এক চা-চামচ জাইতুন তেল সমপরিমাণ কালোজিরার তেল ও মধুসহ দৈনিক ৩বার৪/৫ সপ্তাহ সেব্য। তবে পুরানো কালোজিরা তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

১২। অনিয়মিত মাসিক স্রাববা মেহ/প্রমেহ রোগের ক্ষেত্রে :

এক কাপকাঁচা হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেব্য। যা শতভাগ কার্যকরী ।

১৩। দুগ্ধ দান কারিনীমা’ দের দুধ বৃদ্ধির জন্য :
যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ কালিজিরা। মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালিজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালিজিরা ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন।এছাড়াএকচা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেব্য। যা শতভাগ কার্যকরী।

১৪। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে

ত্বকের গঠনের উন্নতি ও ত্বকের প্রভা বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা অত্যাবশ্যকীয়। এতে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে যা পরিবেশের প্রখরতা, স্ট্রেস ইত্যাদি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুন্দর করে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

· মধু ও কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে আধাঘন্টা বা একঘন্টা রাখে ধুয়ে ফেলুন, এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

· যদি আপনার ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে আপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। নিয়মিত লাগালে ব্রণ দূর হবে।

· শুষ্ক ত্বকের জন্য কালোজিরার গুঁড়া ও কালোজিরার তেলের সাথে তিলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এক সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

১৫। গ্যাষ্ট্রীক বা আমাশয় নিরাময়ে :

এক চা-চামচ তেলসমপরিমাণ মধু সহ দিনে ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য।

১৬।জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার দূরীকরণে :

একগ্লাস ত্রিপলার শরবতের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল দিনে ৩বার করে ৪/৫ সপ্তাহসেব্য।

১৭। রিউমেটিক এবং পিঠেব্যাথা দূর করার জন্য:

কালোজিরার থেকে যে তেল বের করা হয় তা আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা কমাতে বেশ সাহায্য করে। এছাড়াও সাধারণভাবে কালোজিরা খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

১৮। শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে কালোজিরা:

দুই বছরের অধিক বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে কালোজিরা। দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়। তবে বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।

১৯। মাথা ব্যথায দূর করতে:

মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

২০। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে:

মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

২১। হজমের সমস্যায দূরীকরণে:

হজমের সমস্যায় এক-দুই চা-চামচ কালিজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে থাকুন। এভাবে প্রতিদিন দু-তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে হজমশক্তি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি পেট ফাঁপাভাবও দূর হবে।

২২। লিভারের সুরক্ষায়:

লিভারের সুরক্ষায় ভেষজটি অনন্য। লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী আফলাটক্সিন নামক বিষ ধ্বংস করে কালিজিরা।

২৩। চুল পড়া বন্ধ করতে:

কালিজিরা খেয়ে যান, চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আরো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে থাকুন।

২৪। দেহের সাধারণ উন্নতিঃ

নিয়মিত কালোজিরাসেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। এছাড়া
অরুচি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, জ্বর, শরীর ব্যথা, গলা ও দাতে ব্যথা, পুরাতন মাথা ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, খোসপঁচড়া, শ্বেতি, দাদ, একজিমা, সর্দি, কাশি, হাঁপানিতেও কালোজিরা অব্যর্থ ঔষধ হিসেবে কাজ করে।এটি মূত্র বর্ধক ও উচ্চরক্তচাপ হ্রাসকারক,গ্যসট্রিক আলসার প্রতিরোধক, ভাইরাস প্রতিরোধক, টিউমার এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক, ব্যকটেরিয়া এবং কৃমিনাষক, রক্তের স্বাবাবিকতা রক্ষাকারক, যকৃতের বিষক্রিয়ানাষক, এলার্জি প্রতিরোধক, বাতব্যথা নাশক। অরুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালোজিরা সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কালোজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী। জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালোজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায় এবং দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে। এছাড়া শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না। তিলের তেলের সঙ্গে কালিজিরা বাঁটা বা কালোজিরার তেল মিশিয়ে ফোড়াতে লাগালে ফোড়ার উপশম হয়।

২৫। দাঁত ব্যথা দূরীকরণে:

দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।

২৬। শান্তিপূর্ণ ঘুমের প্রয়োজনে:

তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা হয়।

২৭। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কালোজিরা:

কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এতে করে যে কোন জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি করে। ১ চামচ কালোজিরা অথবা কয়েক ফোটা কালোজিরার তেল ও ১চামচ মধুসহ প্রতিদিন সেবন করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

২৮।পারকিনসন্স রোগের প্রতিকারে

কালোজিরায় থাইমোকুইনিন থাকে যা পারকিনসন্স ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের দেহে উৎপন্ন টক্সিনের প্রভাব থেকে নিউরনের সুরক্ষায় কাজ করে।

২৯। চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে

কালোজিরার তেল চুলের কোষ ও ফলিকলকে চাঙ্গা করে ও শক্তিশালী করে যার ফলে নতুন চুল সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কালোজিরার তেল চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া কমায়।

৩০। কিডনির পাথর ও ব্লাডার

২৫০ গ্রাম কালোজিরা ও সমপরিমাণ বিশুদ্ধ মধু। কালোজিরা উত্তমরূপে গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশ্রিত করে দুই চামচ মিশ্রণ আধাকাপ গরমপানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন আধাকাপ তেল সহ পান করতে হবে। কালোজিরার টীংচার মধুসহ দিনে ৩/৪ বার ১৫ ফোটা সেবন করতে পারেন।

৩১। চোখের ব্যথা দূর করতে

রাতে ঘুমোবার আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরুতে কালোজিরা তেল মালিশ করুন এবং এককাপ গাজরের রসের সাথে একমাস কালোজিরা তেল সেবন করুন। নিয়মিত গাজর খেয়ে ও কালোজিরা টীংচার সেবন আর তেল মালিশে উপকার হবে। প্রয়োজনে নির্দেশিত হোমিও ও বায়োকেমিক ওষুধ সেবন।

৩২। উচ্চরক্তচাপ

যখনই গরম পানীয় বা চা পান করবেন তখনই কালোজিরা কোন না কোন ভাবে সাথে খাবেন। গরমখাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরা ভর্তা খান। এ উভয়পদ্ধতির সাথে রসুনের তেল সাথে নেন। সারা দেহে রসুন ও কালোজিরা তেল মালিশ করুন। কালোজিরা, নিম ও রসুনের তেল একসাথে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন। ভালো মনে করলে পুরাতন রোগীদের ক্ষেত্রে একাজটি ২/৩ দিন অন্তরও করা যায়।

৩৩। ডায়রিয়া

মুখে খাবার স্যালাইন ও হোমিও ওষুধের পাশাপাশি ১ কাপ দই ও বড় একচামচ কালোজিরা তেল দিনে ২ বার ব্যবস্থেয়। এর মূল আরকও পরীক্ষনীয়।

৩৪। জ্বর :

সকাল-সন্ধ্যায় লেবুর রসের সাথে ১ চামচ কালোজিরা তেল পান করুন আর কালোজিরার নস্যি গ্রহন করুন। কালোজিরা ও লেবুর টীংচার (অ্যাসেটিকঅ্যাসিড) সংমিশ্রন করে দেয়া যেতে পারে।

৩৫।স্নায়ুবিক উত্তেজনা

কফির সাথে কালোজিরা সেবনে দুরীভুত হয়।

৩৬। উরুসদ্ধি প্রদাহ :

স্থানটি ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিয়ে ৩ দিন সন্ধ্যায় আক্রান্ত স্থানে কালোজিরা তেল লাগান এবং পর দিন সকালে ধুয়ে নিন।

৩৭। আঁচিল

হেলেঞ্চা দিয়ে ঘষে কালোজিরা তেল লাগান। হেলেঞ্চা মুল আরক মিশিয়ে নিলেও হবে। সাথে খেতে দিন হোমিও ওষুধ

সকাল রোগের প্রতিষেধক : মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

সতর্কতা :
গর্ভাবস্থায় ও দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়। তবে বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।

বিঃ দ্রঃ
কালোজিরার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনক ভাবে অতুলনীয়, আর তা কালোজিরার রস/তেলের মধ্যেই বিদ্যমান। ফলে কালোজিরার তেল ব্যবহার ওসেবন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করে এবং রোগ মুক্ত রাখে। তাই ভালো লাগলে একটি লাইক, কমেন্ট ও সকলকে জানানোর জন্য শেয়ার করতে ভুলবেন না,,, মিনহাজউদ্দিন,,,,

সুত্রঃ সময়ের কণ্ঠস্বর

Sunday, October 13, 2019

Grammar: WH Questions

WH-question-কে question word বা প্রশ্নবোধক শব্দও বলা হয়। এই প্রশ্নবোধক শব্দগুলো “W’ এবং “H” বর্ণগুলো ধারণ করে। সেজন্য এদেরকে wh-question বলা হয়।
WH-questions are also referred to question words. These question words contain the letters “W’ and “H”. So, these are called wh-questions.
বিভিন্ন ধরনের wh-question নিচের ছকে উদাহরণসহ দেয়া হল:
WH-QuestionsIndication (নির্দেশনা)Examples
WhatObject, action or idea (বস্তু, কাজ বা ধারণা)· What is your name? My name is Sohana Afrin.
WhoPerson (ব্যক্তি)· Who are you? I am Sohana Afrin.
WhyCause (কারণ)· Why have you come here? I have come here to collect my certificate.
WhenTime (সময়)· When is your flight? At 3:00 pm.
WhereLocation (অবস্থান)· Where is the book? It is on the table.
HowWay (উপায়/কেমন?)· How is your health? Good.
WhomObject of the verb (verb-এর object· Whom do you prefer for this job? I prefer Mary.
WhosePossession (অধিকার)· Whose car is this? This is our car.
WhichChoice (পছন্দ বা কোনটা)· Which is your car? This is our car.
What timeTime (সময়)· What time will the program start? At 6:30 pm.  
What kindDescription (বর্ণনা)· What kind of a person is he? He is a rude person.
How muchPrice/Amount (Uncountable) (মূল্য/পরিমাণ-যা গণনা করা যায় না)·  How much does the dress cost? Tk 3000/ only.
How manyNumber (Countable) (সংখ্যা-যা গণনা করা যায়)· How many books do you have on this topic? Four.
How oftenFrequency (কত বার)· How often do you say a prayer? Five times a day.
How longLength/Duration (দৈর্ঘ্য/ স্থায়িত্ব)· How long will it take you to come? Three hours.
How oldAge (বয়স)· How old is your sister? She is sixteen.
How farDistance (দূরত্ব)· How far is your hometown from here? It is 250 kilometers far.
How comeCause (কারণ)· How come you didn’t see it? I didn’t notice.

Formation of Questions:

1. যখন আপনি বাক্যের subject সম্পর্কে একটি প্রশ্ন তৈরী করতে চান আপনাকে প্রশ্নবোধক শব্দটিকে বাক্যের শুরুতে বসাতে হবে।
When you want to form a question about the subject of the sentence, you have to put the question word at the starting.
Examples:
  • Liza sings really well. -Who sings really well?
  • Adil has done a great job. –Who has done a great job?
3. যখন আপনি বাক্যের predicate সম্পর্কে একটি প্রশ্ন তৈরী করতে চান, তখন তিনটি উপায় আছে:
When you want to form a question about the predicate of the sentence, there are three ways: 
a) যখন মূল verb-এর আগে একটি সাহায্যকারী verb থাকে, আপনাকে প্রশ্নবোধক শব্দটিকে শুরুতে বসাতে হবে এবং subject ও সাহায্যকারী verb-এর মধ্যে inversion বা স্থান পরিবর্তন হবে।
When there is a helping verb before the main verb, you have to put the question word at the starting and inversion will take place between the subject and the helping verb.
Examples:
  • He can write poems. - What can hewrite?
  • She is going tomorrow. – When is shegoing?
  • She will sing a Bengali song. – What will she sing?
b) যখন একটি “to be” verb থাকবে কিন্তু কোন সাহায্যকারী verb থাকবে না, তখন আপনাকে প্রশ্নবোধক শব্দটিকে শুরুতে বসাতে হবে এবং subject ও verb-এর মধ্যে inversion বা স্থান পরিবর্তন হবে।
When there is a “to be” verb but no helping verb, you have to put the question word at the starting and inversion will take place between the subject and the verb.
Examples:
  • The film was – How was the film?
  • She was – How was she?
c) যখন কোন সাহায্যকারী verb বা “to be” verb-ও থাকবে না, তখন আপনাকে auxiliary verb “do” কে তার যথার্থ রূপে বসাতে হবে এবং বাকি সবকিছু উপরোক্তভাবেই হবে।
When there is neither a helping verb nor a “to be” verb, you have to put the auxiliary verb “do” in the form which would be proper and other things will be same as mentioned above.
Examples:
  • They go to their hometown every weekend. – Where do they go every weekend?
  • She sings well. – How does she sing?
  • He came home late. – When did he come home?
উপরের আলোচনা থেকে আপনারা WH-question সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা পেতে পারেন।

Thursday, October 10, 2019

Grammar: Narration Change (Reported to Reporting)

How indirect speech is changed to direct speech is broadly discussed below.
When indirect speech is changed to direct speech, the following rules of tense are followed.
1. Indirect speech-কে direct speech-এ পরিণত করার সময় যদি reporting verb, present বা future tense-এ থাকে তবে reporting speech-এর verb-এর কোন পরিবর্তন হয় না।
During changing indirect speech into direct speech, if the reporting verb is in the present or future tenses, there is no change in the tense of the verb in the reporting speech.
Example:
  • He says that you love cats. (Indirect)
  • He says, “You love cats.” (Direct)
  • He says that you loved the cat. (Indirect)
  • He says, “You loved the cat.” (Direct)
  • He will say that you love cats. (Indirect)
  • He will say, “You love cats.” (Direct)
2. যখন reporting verb, past tense-এ থাকে তখন reporting speech-এর verb past tense-এর চার প্রকারের এক বা অন্য প্রকারে পরিবর্তিত হয়। যেমন:
i. Past Indefinite Tense, Present Indefinite Tense-এ পরিবর্তিত হয়।
Past Indefinite Tense is changed into Present Indefinite Tense.
Example:
  • He told me that she studied every day. (Indirect)
  • He said to me, “She goes studies every day.” (Direct)
ii. Past Continuous Tense, Present Continuous Tense - এ পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ-
Am, is বা are+ verb-এর simple form +ing –থেকে- was বা were+ verb-এর simple form +ing
Past Continuous Tense is changed into Present Continuous Tense, i.e.
was or were + simple form of verb+ing –to- Am, is or are + simple form of verb+ing
Example:
  • He told me that she was studying. (Indirect)
  • He said to me, “She is studying.” (Direct)
  • He asked me if she was studying. (Indirect)
  • He said to me, “Is she studying?” (Direct)
iii. Past Perfect Tense, Present Perfect tense - এ পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ-
Had + verb-এর past participle form- থেকে - Has বা Have + verb-এর past participle form
Past Perfect Tense is changed into Present Perfect tense, i.e.
Had+ past participle form of verb-to- Has or Have + past participle form of verb
Example:
  • Hasan told me that Saira had done it. (Indirect)
  • Hasan said to me, “Saira has done it.” (Direct)
iv. Present Perfect Continuous tense, Past Perfect Continuous Tense- এ পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ-
Had been + verb-এর simple form +ing– থেকে - Has বা Have been + verb-এর simple form +ing
Past Perfect Continuous Tense is changed into Present Perfect Continuous tense, i.e.
Had been + simple form of verb+ing–to- Has or Have been + simple form of verb+ing
Example:
  • He told me that she had been singing for five hours. (Indirect)
  • He said to me, “She has been singing for five hours.” (Direct)
v. Past Perfect Tense, Past Indefinite Tense -এ পরিবর্তিত হয়, অর্থাৎ-
Had+ verb-এর past participle form – থেকে- Verb-এর Past form
Past Perfect Tense is changed into Past Indefinite Tense, i.e.
Had+ past participle form of verb -to- Past form of verb
Example:
  • He told me that she had sung it. (Indirect)
  • He said to me, ”She sang it.” (Direct)
vi. Past Perfect Continuous Tense, Past Continuous Tense - এ পরিবর্তিত হয়, অর্থাৎ-
Had been+ verb-এর simple form +ing– থেকে - Was or were+ verb-এর simple form +ing
Past Perfect Continuous Tense is changed into Past Continuous Tense, i.e.
Had been+ simple form of verb +ing –to- Was or were+ simple form of verb +ing
Example:
  • He told me that she had been singing the song. (Indirect)
  • He said to me, “She was singing the song.” (Direct)
vii. Past Perfect Tense এবং Past Perfect Continuous Tense একই থাকে।
Past Perfect Tense and Past Perfect Continuous Tense remain the same.
Example:
  • He told me that she had sung it. (Indirect)
  • He said to me, “ She had sung it.” (Direct)
  • He told me that she had been singing for three hours. (Indirect)
  • He said to me, “She had been singing for three hours.” (Direct)
viii. “Would”, Shall/will -এ পরিবর্তিত হয়; “could”,can-এ পরিবর্তিত হয় এবং “might”, may-এ পরিবর্তিত হয়।
“Would” is changed into Shall/will; “could” is changed into can and“might” is changed into may.
Example:
  • He told me that she would sing the song. (Indirect)
  • He said to me, “She will sing the song.” (Direct)
  • He told me that she could sing the song. (Indirect)
  • He said to me, “She can sing the song.” (Direct)
  • He told me that she might sing the song. (Indirect)
  • He said to me, “She may sing the song.” (Direct)
2. যখন reported speech কোন চিরন্তন সত্য, বা অভ্যাসগত সত্য বোঝায়, তখন reporting speech-এর verb অপরিবর্তিত থাকবে যদিও reporting verb, past form-এ থাকে।
When the reported speech states some universal truth or habitual fact, the reporting speech’s verb remains unaffected even if the reporting verb is in past form.
Example:
  • He said that the sun sets in the west. (Indirect)
  • He said, “The sun sets in the west.” (Direct)
  • He said that you love cats. (Indirect)
  • He said, “You love cats.” (Direct)
3. দূরত্ববোধক শব্দগুলোকে নিম্নের নিয়মে কাছের সময় বা জায়গা বোঝায় এমন শব্দে পরিণত করা হয়:
FromToFromToFromToFromTo
ThenNowThatThisThereHereThat dayToday
That nightTonightThoseTheseThe previous dayYesterdayGoCome
ThenceHenceThe previous nightLast nightSoThusThitherHither
The next dayTomorrowBeforeAgo----